Coal Smuggling Scam: সিবিআইয়ের নজরে এবার আসানসোলের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার
শুরু হয়ে গেছে বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন। এরইমধ্যে তুঙ্গে উঠেছে কয়লা, গরু থেকে সারদা, মেট্রো ডেয়ারি মামলায় সিবিআই-ইডির তৎপরতা। মঙ্গলবার কয়লাকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল সিপি লক্ষ্মীনারায়ণ মিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে আসানসোলের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা। নোটিস পেয়ে সিবিআই দফতরে গেলেন বর্তমানে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল সিপি লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা। এদিকে ভোটের কাজে ব্যস্ত আছি, পরে সময় দেওয়া হোক বলে ইডিকে মেল করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মঙ্গলবার ইডি দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। মেট্রো ডেয়ারি মামলায় তলব করা হয় তাঁকে।
শুরু হয়ে গেছে বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন। এরইমধ্যে তুঙ্গে উঠেছে কয়লা, গরু থেকে সারদা, মেট্রো ডেয়ারি মামলায় সিবিআই-ইডির তৎপরতা। মঙ্গলবার কয়লাকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল সিপি লক্ষ্মীনারায়ণ মিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে দাবি, লক্ষীনারায়ণ মিনা আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার থাকাকালীনই অবৈধ কয়লা খনি থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা তোলা হয়। তাঁর আমলে একাধিক অভিযোগ জমা পড়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, আইজি র্যাঙ্কের এই অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে তাঁরা।
অভিযোগ জমা পড়া সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেননি তিনি? অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কী করেছিলেন? কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালাকে তিনি চিনতেন কি না? কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে তাঁর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি? মাফিয়াদের হয়ে তাঁর সঙ্গে কারও কথা হয়েছিল কি না? অন্যদিকে গরুপাচারকাণ্ডে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র।
সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে কয়েকদিনের মধ্যেই আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানাবে তারা। পাশাপাশি মেট্রো ডেয়ারি মামলায় তলব করা সত্ত্বেও মঙ্গলবার ইডি দফতরে এলেন না রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ইডি সূত্রে খবর, মেল করে তিনি জানিয়েছেন ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকায় হাজিরা দিতে পারছেন না তিনি। পরে তাঁকে সময় দেওয়া হোক। অন্যদিকে এদিন সারদা কাণ্ডে রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানকে প্রায় ৪ ঘণ্টা জেরা ইডি। সুদীপ সেনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনসহ একাধিক বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বলে খবর।