কর্মী কোভিড-১৯ পজিটিভ, দুদিনের জন্য সিল এয়ার ইন্ডিয়ার দফতর
৭ তারিখ প্রথম পরীক্ষায় এক কর্মীর কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। গতকাল সন্ধেয় আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্টও পজিটিভ আসে।
নয়াদিল্লি: এক কর্মী কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার জেরে দুদিন বন্ধ এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লি সদর দফতর। এক শীর্ষ কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদাসংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ও বুধবার -- এই দুদিনের জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার দফতর সিল করে দেওয়া হয়েছে।
ওই কর্তা জানান, গত ৭ তারিখ প্রথম পরীক্ষায় এক কর্মীর কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। গতকাল আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্টও পজিটিভ আসে। জানা গিয়েছে, ওই কর্মীর প্রথমদিকে জ্বর এসেছিল। ওষুধ খেয়ে তা কমেও যায়। পরে, ওই কর্মীর গলা ব্যথা এবং সেইসঙ্গে শ্বাসকষ্টও শুরু হয়।
রবিবার তিনি টেস্ট করালে তাঁকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন। সঙ্গে পরামর্শ দেন, কোনওপ্রকার শারীরিক পরিবর্তন বা অসুস্থাজনিত সমস্যা নজরে আসলে, হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে।
এর আগে, এয়ার ইন্ডিয়ার পাঁচ পাইলট কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। কিন্তু, সোমবার সন্ধেয় দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, তাঁদের সকলেই নেগেটিভ। জানা গিয়েছে কার্গো বিমানের ওই পাঁচ পাইলট গত ২০ এপ্রিল চিনে গিয়েছিলেন। ফেরার পর তাঁরা ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে ছিলেন।
তবে,রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার আরও দুই কর্মী- একজন টেকনিশিয়ান ও অপরজন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের টাগ-চালক -- দুজন পজিটিভ হন। ওই কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে সংস্থাটি।
সরকারের 'বন্দে ভারত' মিশনের অন্তর্গত কোভিড-১৯ লকডাউনের সময়ে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে ৭ থেকে ১৪ মে ৬৪টি ফ্লাইট চালাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া ও তার অধিনস্থ এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয়কে ঘরে ফেরানো হবে।
গত ২৫ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২,২৯০ জন।