Jodhpur Breathing Bank : অক্সিজেন সংকটে আশার আলো ব্রিদিং ব্যাঙ্ক
করোনাকালে অক্সিজেন সংকটে জেরবার ? ব্লাড ব্যাঙ্কের মতো এবার আসতে চলেছে 'ব্রিদিং ব্যাঙ্ক'। দেশের মধ্যে সবার আগে এই ব্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে রাজস্থানের যোধপুরে। ন্যূনতম ভাড়ার বিনিময়ে এই পোর্টেবল অক্সিজেন মেশিন পাবেন কোভিড রোগীরা।
যোধপুর : দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, করোনা রুখতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা স্থাস্থ্যমন্ত্রকের। নিত্যদিন বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংস্থ্যা। এরকম অবস্থায় ঊর্ধ্বমুখী অক্সিজেনের চাহিদা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে অক্সিজেন সকটের খবর। বিপাকে করোনা রোগীরা। এবার তাঁদের কথা মাথায় রেখে অক্সিজেন ব্যাঙ্কের পরিকল্পনাকে রূপ দিলেন সমাজকর্মী নির্মল গেহলট।
তাঁকে সহায়তা করতে সমাজকর্মীদের কাছে আহ্বান জানান তিনি। নির্মলকে নিরাশ করেননি সমাজকর্মীরা। ব্রিদিং ব্যাঙ্ক গড়তে সব ধরণের সাহায্য করেন তাঁরা। যার ফলস্বরূপ এখনও ৯৫টি পোর্টেবল অক্সিজেন মেশিন কিনতে পেরেছেন নির্মল।
গেহলট জানিয়েছেন, ব্রিদিং ব্যাঙ্কে পাঁচশোটি পোর্টেবল অক্সিজেন মেশিন কেনা তাঁর লক্ষ্য। যার থেকে সহজেই উপকৃত হতে পারবেন রোগীরা।আপাতত শনিবারের মধ্যেই দশটি মেশিন পৌঁছে যাচ্ছে যোধপুরে। পরবর্তীকালে আরও দ্রুত অন্যান্য মেশিনগুলি পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন তিনি।
প্রশ্ন জাগে কেন হঠাৎ এরকম একটা পরিকল্পনা নিলেন গেহলট ? নিজেই যার উত্তর দিয়েছেন এই সমাজকর্মী। গেহলট জানান, গত বছর তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময় অক্সিজেনের খুব প্রয়োজন হয়। অসুস্থতার সময় মাকে অক্সিজেনের জন্য ছটফট করতে দেখেছেন তিনি। সম্প্রতি
সেই অক্সিজেনের অভাবেই তাঁর এক বন্ধু মারা যান। এই ঘটনাগুলিই তার জীবনের চিন্তাধারা বদলে দেয়। অক্সিজেনের অভাব দূর করতে বিকল্প কিছুর কথা ভাবেন তিনি।
এরপর শুরু হয় খোঁজ। হাসপাতালে অক্সিজেন দিতে গেলে বড় অঙ্কের খরচের বোঝা বইতে হয় রোগীকে। যা আর্থিকভাবে দুর্বল রোগীর পক্ষে সম্ভব নয়। পরিবর্তে বাড়িতে অক্সিজেন দেওয়ার কথা ভাবেন নির্মল। তখনই পোর্টেবল অক্সিজেন মেশিনের কথা মাথায় আসে তাঁর। নির্মল জানান, একটি পোর্টেবল অক্সিজেন মেশিনের দাম ৪০,০০০ টাকা। কোনও জায়গায় এই মেশিন বসানো হলে তা চারপাশ থেকে বাতাস সংগ্রহ করে। পরে বাতাস থেকে নাইট্রোজেন আলাদা করে রোগীকে অক্সিজেন পাঠায়। মিনিটে ৫ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে এই মেশিন।
এখানেই শেষ নয়। গেহলট আরও জানান, আর্থিকভাবে দুর্বল এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ভাড়ায় এই মেশিন দেবেন তিনি। রোগীরা যাতে মেশিন ফেরত দেয় সেদিকেও নজর দেওয়া হবে। তাই মেশিন ফেরত দেওয়ার পরই ভাড়া নেওয়া হবে রোগীদের থেকে। দেশের 'করোনা মিটার' বলছে, প্রতিদিন ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফের জেরে অক্সিজেনের চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। সেই সময় রাজস্থানে পথ দেখাতে পারে 'ব্রিদিং ব্যাঙ্ক'।