Covid19 Update : কোভিড থেকে সেরে উঠেও স্বস্তি নেই, শিশুদের নিয়ে নতুন উদ্বেগ !
কোভিডমুক্ত হওয়ার পর কোনও কোনও শিশুর শরীরে মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রম দেখা যাচ্ছে। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলে এরকম উদাহরণ পাওয়া গেছে। ফলে, কোভিড আবহে শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
নিউ দিল্লি : কোভিড থেকে সেরে উঠেও যেন স্বস্তি নেই ! ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উদ্বেগের মধ্যেই নতুন তথ্য সামনে এল। কোভিডমুক্ত হওয়ার পর কোনও কোনও শিশুর শরীরে মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রম দেখা যাচ্ছে। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলে এরকম উদাহরণ পাওয়া গেছে। ফলে, কোভিড আবহে শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
কোভিড আবহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের মোকাবিলায় ব্যস্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এরই মধ্যে MIS-C নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। কারণ, এর জেরে শিশুদের হার্ট, লিভার ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
কী এই মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রম ?
কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শিশুর শরীরে যে অ্যান্টিজেন তৈরি হয়, তারই প্রতিক্রিয়া হিসাবে মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রম দেখা যাচ্ছে। শিশুরা কোভিডমুক্ত হওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এই সিনড্রমের শিকার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ছাড়াও অন্য আরও কয়েকটি দেশে বড় সংখ্যক MIS-C কেস দেখা গিয়েছে।
ফর্টিস হাসপাতালের পেডিয়াট্রিসিয়ান যোগেশ কুমার গুপ্তা সংবাদসংস্থা PTI-কে জানিয়েছেন, এটা খুব বিপজ্জনক তা বলছি না। কিন্তু, কখনো কখনো শিশুদের খুব ক্ষতি করে। শিশুদের লিভার, হার্ট, কিডনির ক্ষতি করতে পারে। সংক্রমণের চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রম দেখা দিতে পারে। তবে, শিশুদের শরীরে কোভিডের থেকে বেশি বিপজ্জনক MIS-C।
এই চিকিৎসক ব্যাখ্যা হিসাবে বলেন, সক্রিয় সংক্রমণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু, একবার সেরে ওঠার পর অ্যান্টিবডি থেকে যায়। এই অ্যান্টিবডিগুলিই শিশুদের শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটা শরীরে অ্যালার্জির মতো লাগে।
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত বছর এরকম তিনটি কেস দেখা গিয়েছিল। এবার কর্ণাটকে দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পর ফর্টিস হেল্থকেয়ারে এরকম দুটি ঘটনা পাওয়া গিয়েছে।
সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত কমে গেলে MIS-C এর আরও ঘটনা দেখা দিতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা। তাই শিশুদের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিনের উপরও জোর দেওয়া উচিত বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।