WHO Chief on Covid19: ভ্যাকসিনেও ধনী-গরিব ! বিশ্বের ৮৩ শতাংশ টিকা পেয়েছে বিত্তশালী দেশগুলি; বলছে WHO
এবার ভ্যাকসিনের গায়ে লাগল ধনী-গরিবের রং। উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্তের মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে বৈষম্য হয়েছে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাসের মন্তব্য থেকে যা পরিষ্কার।
জেনেভা : এবার ভ্যাকসিনের গায়ে লাগল ধনী-গরিবের রং। উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্তের মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে বৈষম্য হয়েছে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাসের মন্তব্য থেকে যা পরিষ্কার।
বিশ্বের ধনী দেশগুলির কাছে আগেই পৌঁছে যাচ্ছে ভ্যাকসিনের ডোজ। সেই তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে নিম্নবিত্ত দেশগুলি। এ বিষয়ে মুখ খুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাসে বলেছেন, '' উচ্চ ও উচ্চ মধ্যবিত্ত যে দেশগুলি বিশ্বের ৫৩ শতাংশ জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করছে, তাদের কাছে আগেই কোভিড ভ্যাকসিন পৌঁছে গিয়েছে। এই দেশগুলির কাছে বিশ্বের ৮৩ শতাংশ টিকা আগেই পৌঁছেছে। তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ৪৭ শতাংশ দেশ। এদের বরাতে কেবল বিশ্বের ১৭ শতাংশ ভ্যাকসিন জুটেছে।''
দেশের কোভিত পরিস্থিতি বলছে, ক্রমশই ঊর্ধমুখী করোনার গ্রাফ। বহু রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্য। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অন্য রাজ্যে অক্সিজেন পাঠাতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ভারতের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে হু-এর।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ''গত বছরই ভারতে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল। বিশ্বের কাছে একটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই ভ্যারিয়েন্ট। প্রাথমিক গবেষণার পর মনে হয়েছিল, সহজেই এই ভ্যারিয়েন্ট চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।'' ভারতের এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হু-এর টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ। তাঁর মতে, দেশের B.1.617 ভ্যারিয়েন্ট সারা বিশ্বের কাছে মাথাব্যথার কারণ।
দেশের এই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারকে বিঁধতে ছাড়ছে না কংগ্রেস। ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন নীতির সমালোচনা করেছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গাঁধী। তিনি বলেছেন, '' 'অযোগ্য সেতু' অ্যাপ দিয়ে দেশের করোনা তাড়ানো যাবে না। দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। সেই ক্ষেত্রে দুটো ভ্যাকসিনের ডোজই কোভিড দূরীকরণে কাজে আসবে।''
তবে শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোই নয়, মোদি সরকারের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বায়োকন লিমিটেড-এর এক্সিকিউটিভ চোয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার শ। দেশে করোনা টিকার কম সরবারাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রককে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, ''দেশে করোনা ভ্যাকসিনের সরবরাহের হাল নিয়ে খুবই চিন্তিত। আমরা কি জানতে পারি, প্রতি মাসে ৭ কোটি ভ্যাকসিন কোথায় যাচ্ছে ? রহস্য এড়াতে এই বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা আনা উচিত। ভ্যাকসিন সরবরাহের টাইম টেবিল যদি জনসমক্ষে আনা যায়, তাহলে ধৈর্য্য ধরে নিজেদের টিকা নেওয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবে জনগণ।''