UP on Covid19:উত্তরপ্রদেশের গ্রামে ভয়ঙ্কর সংক্রমণ, করোনার উপসর্গ নিয়ে এক মাসে মৃত্যু ১০০ জনের
উত্তরপ্রদেশের গ্রামাঞ্চলের অবস্থা উদ্বেগজনক। এক মাসের মধ্যে গাজিয়াবাদের একটি গ্রামে করোনার মতো উপসর্গ নিয়ে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে এই গ্রামটি।
![UP on Covid19:উত্তরপ্রদেশের গ্রামে ভয়ঙ্কর সংক্রমণ, করোনার উপসর্গ নিয়ে এক মাসে মৃত্যু ১০০ জনের Coronavirus Update: second Covid wave is wreaking havoc in rural areas of Uttar Pradesh UP on Covid19:উত্তরপ্রদেশের গ্রামে ভয়ঙ্কর সংক্রমণ, করোনার উপসর্গ নিয়ে এক মাসে মৃত্যু ১০০ জনের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/05/20/ae453899b483583bca47cb265b5e7def_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
গাজিয়াবাদ : করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে দেশের গ্রামীণ এলাকায়। উত্তরপ্রদেশের গ্রামাঞ্চলের অবস্থা উদ্বেগজনক। এক মাসের মধ্যে গাজিয়াবাদের একটি গ্রামে করোনার মতো উপসর্গ নিয়ে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে এই গ্রামটি।
গাজিয়াবাদের এই গ্রামটির নাম নাহাল। এখান বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। ১৫ এপ্রিলের পর থেকে এখানকার মানুষজন অসুস্থ হতে শুরু করেন। তাঁদের মৃদু জ্বর ও কাশি শুরু হয়।
আর তার জেরেই ডাক্তারের চেম্বারের বাইরে লম্বা লাইন পড়তে থাকে। তবে, অনেকেই ওষুধ খাওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। যাঁদের অবস্থার অবনতি হয়, তাঁদের বড় হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এই গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে রয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল।
নাহাল গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৫ এপ্রিলে থেকে ১০ মে-র মধ্যে এমন দিনও গেছে যে দিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোনও কোনও দিন ৩-৪ জনেরও মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে ৩০ দিনে ১০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গ্রামের প্রাক্তন প্রধান মুন্নায়ার সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, "মানুষের জ্বর ও গলায় ব্যথা হচ্ছিল। প্রায় ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে যথেষ্ট অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ নিয়ে মানুষ মারা যান। যাঁরা বড় হাসপাতালে যেতে পারেননি, তাঁদের গ্রামেই চিকিৎসা চলে। সরকারের তরফে কেউ আসেনি। গতকালও একজন মারা গেছেন।"
জাকির হুসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "পঞ্চায়েত ভোটের আগে পর্যন্ত গ্রামের অবস্থা ভাল ছিল। কিন্তু, ভোটের পর পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। মানুষের জ্বর আসা শুরু হয়। তার পরেই চিকিৎসার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেউ কেউ সেরে উঠেছেন। কিন্তু, যখন অনেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেন, পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। কাউকে কাউকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েই এক মহিলা টিকাকরণের জন্য এসেছিলেন। কিন্তু, কেউ ভ্যাকসিন নিতে এগিয়ে আসেননি। সম্প্রতি গ্রামের কয়েকজন ডাক্তারকে ডেকে পাঠান SDM। তিনি তাঁদের করোনা কিট দিয়েছেন।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)