(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে শিশু, তরুণরাও, শঙ্কায় চিকিৎসক মহল
এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ঢেউতে তুলনামূলকভাবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণরা।
নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। উত্তরোত্তর বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের দিনের পরিসংখ্যানকে। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ঢেউতে তুলনামূলকভাবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণরা।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দ্বিতীয় ঢেউকে ভয়াবহ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। চিকিৎসকরা আরও একধাপ এগিয়ে অত্যন্ত ভয়াবহ বলছেন। দিল্লির এলএনজিপি হাসপাতালের চিকিৎসক রিতু সাক্সেনা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এবার করোনা সংক্রমিত হচ্ছে শিশুরাও। মাত্র কয়েকদিন বয়সের শিশুরাও ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর ৭ থেকে ৮ জন শিশু করোনা আক্রান্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে এক শিশু হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পর আক্রান্ত হয়।
ওই চিকিৎসকের কথায়, তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার হার মোট আক্রান্তের ৩০ শতাংশ। মূলত ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সিরা রয়েছেন এই তালিকায়। রিতু সাক্সেনা জানান, যাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের প্রত্যেকেরই জ্বর আছে। তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে যে, পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হলে বাকিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদিকে রাজধানীতে ব্যাপক হারে বাড়ছে সংক্রমণ। দিল্লি সরকারের দেওয়া শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ২৮২ । যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৩৪ জনের। আক্রান্তের হার ১৫.৯২ শতাংশ। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০৪। এদিকে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে সপ্তাহের শেষে কার্ফু জারি করেছে কেজরিওয়াল সরকার। আজ, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড পজিটিভ রোগী ধরা পড়েছে ২,১৭,৩৫৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১৮৫ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১,১৮,৩০২ জন ৷ সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪২,৯১,৯১৭ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট জানাচ্ছে, দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৬৯,৭৪৩ জন।