কার্ফু, লকডাউনে জরুরি পরিষেবা বজায় রাখার নির্দেশ কেন্দ্রের
ইতিমধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় জরুরি পরিষেবা সহ প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নয়াদিল্লি: জরুরি পরিষেবায় যেন বিঘ্নিত না হয়। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তা নিশ্চিত করতে বলল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, মুদিখানার দোকান, ওষুধের দোকান যাতে খোলা থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। লকডাউন বা কার্ফু চলছে এমন বিশেষ কিছু এলাকায় যেন খাবার সরবরাহ, ওষুধ সরবরাহ বজায় থাকে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় জরুরি পরিষেবা সহ প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো যাবে না। ন্যায্য মূল্যে তা বিক্রি করতে হবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।
প্রয়োজনে ফুড এন্ড সিভিল সাপ্লাইস, কন্ট্রোলার, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পুলিশ বিভাগের যৌথ দল গঠন করতে হবে। চাহিদা ও সরবরাহের অমিল, হোর্ডিং এবং অত্যধিক মূল্য নির্ধারণের পরিস্থিতি এড়াতে কার্যকর নজরদারি শুরু করতে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা যাতে বজায় থাকে সেদিকেও নজর দিতে হবে। কেন্দ্র বলেছে, প্রচার ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিতে হবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও আতঙ্ক তৈরি না হয়।
দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে আবারও কার্ফু, আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী রবিবার সমগ্র উত্তরপ্রদেশে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। ওইদিন রাজ্যের সমস্ত বাজার, অফিস, জিম, অডিটোরিয়াম ও সিনেমা হল বন্ধ থাকবে। রবিবার সারা রাজ্যজুড়ে হবে স্যানিটাইজেশনের কাজ। অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলিকে শুধুমাত্র লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতিতে জারি হয়েছে কড়া লকডাউনের নিয়ম। সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে সপ্তাহের শেষে কার্ফু জারি করেছে কেজরিওয়াল সরকার। আজ, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে।