COVID19 Vaccine Update : 'করোনা ভ্যাক'-কে অনুমতি, চিনের কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল WHO
করোনা মোকাবিলায় এবার চিনের আরও এক ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্যই এই ভ্যাকসিনকে অনুমতি দিয়েছে WHO। চিনের 'সিনোভ্যাক' কোম্পানির এই করোনা ভ্যাকসিনের নাম 'করোনা ভ্যাক'।
![COVID19 Vaccine Update : 'করোনা ভ্যাক'-কে অনুমতি, চিনের কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল WHO COVID-19: WHO approves emergency use of China's CoronaVac vaccine COVID19 Vaccine Update : 'করোনা ভ্যাক'-কে অনুমতি, চিনের কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল WHO](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/06/02/9f699297780f09ef0ca444cd25f1a237_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
জেনেভা: জরুরিকালীন পরিষেবা হিসাবে চিনের কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এই নিয়ে বিশ্বে চিনের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন কোভিড মোকাবিলায় সবুজ সংকেত পেল। চিনের 'সিনোভ্যাক' কোম্পানির এই করোনা ভ্যাকসিনের নাম 'করোনা ভ্যাক'।
এ প্রসঙ্গে WHO-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল মারিঅ্যাঞ্জেলা সিমাও বলেন, ''বিশ্বে এই মূহূর্তে একাধিক কোভিড ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। দুনিয়ায় ভ্যাকসিন লাভের বৈষম্য দূর করতেই তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি। আমরা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলিকে কোভ্যাক্স অভিযানে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছে। কোভিড মহামারী মোকাবিলায় তাদের অভিজ্ঞতা জানাতে বলেছি।''
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ১৮ বছর ও তার ঊর্ধ্বের ব্যক্তিরা চিনের এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিতে হবে সবাইকে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর মাঝে ২-৪ সপ্তাহের বিরতি দিতে হবে। WHO's Strategic Advisory Group of Experts in Immunization (SAGE) জানিয়েছে, ৫১ শতাংশ উপসর্গযুক্ত রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী এই ভ্যাকসিন। এর টিকা নিলে ব্যক্তির ১০০ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তির পরিস্থিতি হবে না। এমনকী করোনার গুরুতর অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে না ভ্যাকসিন গ্রহণকারীকে।
হু-এর তরফে জানানো হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কিছু প্রবীণ নাগরিকের ওপর সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের পরীক্ষা হয়েছে। সেই অনুযায়ী এই টিকা কেবল বয়স্ক বা প্রবীণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কার্যকরী এটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। যুব ও প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন আলাদা সুরক্ষা বলয় তৈরি করে, এরকম ভাবার কোনও যুক্তি নেই। সেই কারণে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনও বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ঘোষণা করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এটা ঠিক যে, বিভিন্ন দেশের তথ্য দেখে মনে করা হচ্ছে, প্রবীণ নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন কার্যকরী।
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, চিনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ব্যবহারকারী দেশগুলিকে রোগীর ওপর প্রয়োগের তথ্য রাখতে বলেছে WHO। মূলত, প্রবীণ নাগরকিদের ওপর এই ভ্যাকসিনের প্রভাব নজরে রাখতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভ্যাকসিনকে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয় নজরে রাখতে বলেছে 'হু'।
গত মাসেই ইমারজেন্সি ব্যবহারের তালিকায় নাম ওঠে চিনের সিনোফার্ম কোম্পানির ভ্যাকসিনের। চিনের ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের সহকারী কোম্পানি 'বেজিং বায়ো ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস কোম্পানি লিমিটেড' তৈরি করেছে সিনোফার্ম ভ্যাকসিন। এই প্রথম আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য চিনের কোনও ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)