Cyclone Biparjoy: উত্তাল সমুদ্র, কচ্ছ উপকূলে অনুভূত কম্পন, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়
Cyclone Biparjoy: ক্রমশ গুজরাত উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বুধবার সন্ধ্যায় একবার অনুভূত হয়েছে কম্পন। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৩.৫।
Cyclone Biparjoy: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় (Cyclone Biparjoy)। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই আছড়ে পড়ার কথা এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone)। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি (High Alert) হয়েছে ভারত এবং প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের উপকূলে। আগামীকাল অর্থাৎ ১৫ জুন এই অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কথা কচ্ছ উপকূলে। তারপর তা অগ্রসর হবে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে। মৌসম ভবন জানিয়েছে ইতিমধ্যেই বিপর্যয় একটি অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে আঘাত হানবে এই ঘূর্ণিঝড়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিপর্যয়ের দাপটে ল্যান্ডফল হওয়া এলাকায় উপড়ে যেতে পারে বিদ্যুতের খুঁটি এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের খুঁটি। এর প্রভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগ। ব্যাহত হতে পারে ট্রেন, বিমান পরিষেবা এবং সমস্যা দেখা দিতে পারে সড়ক পরিবহণের ক্ষেত্রেও।
অবশেষে গুজরাতের কচ্ছ উপকূলের গ্রাম থেকে সরতে রাজি হয়েছেন গ্রামবাসীরা
গুজরাতের কচ্ছ জেলার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে প্রায় ৭০টি গ্রাম। এর মধ্যে সালায়া গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া বাকি ছিল। সেই কাজ শুরু হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জেলা আধিকারিকরা আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন এই গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কারণ কারণ এই গ্রাম কচ্ছ উপকূলের এমন জায়গায় অবস্থিত যেখানে সমুদ্রের জল প্রবেশ করে। তাই বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার আগেই এই গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাণ্ডবীর কাছে এই সালায়া গ্রামে থাকেন প্রায় ২৫০০ বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মৎস্যজীবী।
গুজরাতের উপকূল এলাকায় বিএসএফ স্থানীয়দের জন্য তৈরি করেছে আশ্রয়স্থল। অন্যদিকে গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি ইতিমধ্যেই সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেনাবাহনী পৌঁছে গিয়েছে দেবভূমি দ্বারকাতে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আছড়ে পড়লে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যই মোতায়েন হয়েছে সেনা। ঝড়ের কারণে দ্বারকাধীশ মন্দির ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
কড়া নিরাপত্তা রয়েছে উপকূলে
পোরবন্দর এবং ওখা- এই দুই স্থানে মোতায়েন রয়েছে পাঁচটি করে উদ্ধারকারী দল। এছাড়াও ১৫টি উদ্ধারকারী দল রয়েছে ভালসুরাতে। গোয়াতে আইএনএস হংস এবং মুম্বইতে আইএনএস শিকরা তৈরি রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনে গুজরাতে উপকূলে রওনা হবে ভারতীয় নৌসেনাবাহিনীর এই দুই জাহাজ। ভুজ এয়ারফোর্স স্টেশনেও তৈরি রয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনাবাহিনীর গারুদা ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। প্রস্তুত বায়ুসেনাবাহিনীর জওয়ানরাও।
কচ্ছ জেলায় অনুভূত কম্পন
ক্রমশ গুজরাত উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বুধবার সন্ধ্যায় একবার অনুভূত হয়েছে কম্পন। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৩.৫। গান্ধীনগরের Institute of Seismological Research জানিয়েছে বুধবার ১৪ জুন বিকেল ৫টা ৫মিনিট নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কিছু।
আরও পড়ুন- একঢাল ঘন -কালো চুল রয়েছে আপনার, লম্বা চুলের যত্নে অবশ্যই মেনে চলুন নিয়মগুলো