Darul Uloom Deoband Update: ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে শিক্ষায় আপত্তি, জমিয়তের পর এবার বিরেধিতা দেওবন্দের
এ প্রসঙ্গে দেওবন্দের মুখপাত্র আসরাফ উসমানি বলেন, ''আমরা নারী শিক্ষার বিরোধী নই। মেয়েদের শিক্ষার জন্য আলাদা ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত। তবে ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধী আমরা।''
শাহারনপুর: এবার ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে শিক্ষায় আপত্তি তুলল উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা দারুল-উলুম-দেওবন্দ। সম্প্রতি এই দাবি করেছিল রাজ্যের আরও এক মুসলিম সংগঠন জমিয়ত-উলেমা-এ হিন্দ। এদিন সেই দাবিকে সমর্থন করেছে দেওবন্দ। মাদ্রাসার মুখপাত্র জানিয়েছে, ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে দেওবন্দের মুখপাত্র আসরাফ উসমানি বলেন, ''আমরা নারী শিক্ষার বিরোধী নই। মেয়েদের শিক্ষার জন্য আলাদা ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত। তবে ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার ঘোরতর বিরোধী আমরা।'' সোমবারই মেয়েদের জন্য পৃথক স্কুল ও কলেজ স্থাপনের কথা বলে মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ। সংগঠনের তরফে বলা হয়, অমুসলিমদের উচিত তাদের মেয়েদের অনৈতিকতা এবং অসদাচরণ থেকে দূরে রাখার জন্য কো-এডুকেশন বর্জন করা।
এক বিবৃতিতে জমিয়তের প্রধান আরশাদ মাদানি বলেন, দেশে ধর্মীয় ও আদর্শবাদের যে সংঘাত তৈরি হয়েছে তা একমাত্র উচ্চশিক্ষার মাধ্যমেই দূর হতে পারে। কোনও টেকনোলজি বা হাতিয়ার দিয়ে এই সংঘর্ষের বিরুদ্ধে লড়া যাবে না। যুব প্রজন্মের মধ্যে উচ্চশিক্ষার আলো ঢুকলেই এই এইসব সংঘাত দূর হয়ে যাবে।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি মাদানি। তাঁর মতে, স্বাধীনতার পর থেকেই মুসলিমদের শিক্ষার ক্ষেত্র থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা একটা পরিকল্পিত চেষ্টা। যদিও এইসবের পরও মুসলিমরা নিজেদের শিক্ষার পরিসর থেকে দূরে রাখেনি। যার সবথেকে বড় উদাহরণ মাদ্রাসা। শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা তৈরি করেছে মুসলিমরা।
তবে এই প্রথমবার নয়। অতীতেও জমিয়তের মুখে নারীদের আলাদা শিক্ষার কথা শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে প্রচুর। যদিও নিজেদের চিন্তাধারা থেকে সরে আসেনি এই মুসলিম সংগঠন। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ। উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, আগামী বছরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে 'মেপে পা ফেলছেন' মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ইতিমধ্যেই ইউপির শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে তিনি বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে স্থানীয় সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের মেল বন্ধনের মাধ্যমেই সমাজের বিকাশ হবে। সেটাই হল আসল শিক্ষা।