Delhi Blast Updates: উমরদের টেলিগ্রাম চ্যাটে বারবার 'বিরিয়ানি', 'দাওয়াত'-এর উল্লেখ! কী বোঝাতে এই শব্দ ব্যবহার? তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
চ্যাট থেকে মনে হতে পারে, হোয়াইট কলার সন্ত্রাসী মডিউলের চারজন ডাক্তার টেলিগ্রামে তাদের প্রিয় খাবার নিয়ে কথা বলছিলেন। কিন্তু সেই মেসেজের সঙ্গে খাবারের কোনও সম্পর্কই ছিল না, বরং ছিল বিস্ফোরণের ছক।

নয়া দিল্লি: দিল্লির বুকে সন্ত্রাসী-বিস্ফোরণের ঘটনায় দিল্লি ও কাশ্মীরে চলছিল তল্লাশি। চলছিল তদন্তও। দিল্লি বিস্ফোরণের 'হোয়াইট কলার মডেল'-এর নানা কার্যকলাপও উঠে এসেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল,
দেশ-বিদেশের জঙ্গি সংগঠন, এমনকী নিজেদের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ রাখত এই মডিউল-এর সদস্যরা? উঠে আসে সিগন্যাল নামে আরও একটি অ্যাপের কথা।
এর পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে হোয়াইট কলার সন্ত্রাসী মডিউলটি সাধারণ খাবারের নাম ব্যবহার করে নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। সূত্রের খবর। মুজামিল শাকিল, উমা উন নবী, শাহীন সাঈদ এবং আদিল আহমেদ রাথেরের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসী মডিউলটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড অ্যাপ টেলিগ্রামে সন্ত্রাসী পরিকল্পনা যোগাযোগের জন্য "বিরিয়ানি" এবং "দাওয়াত" এর মতো কোড শব্দ ব্যবহার করেছিল।
সূত্রের এও খবর, "বিরিয়ানি" বলতে বিস্ফোরক পদার্থ বোঝানো হয়েছিল এবং "দাওয়াত" বলতে একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে বোঝানো হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে সন্ত্রাসী হামলার জন্য বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পর, তারা টেলিগ্রামে একটি বার্তা শেয়ার করেছিলেন: "বিরিয়ানি প্রস্তুত, দাওয়াতের জন্য প্রস্তুত থাকুন।"
এই হোয়াইট কলার সন্ত্রাসী মডিউলের মূল পরিকল্পনাকারী ইমাম ইরফান আহমেদকে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের বাসিন্দা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, তিনি চিকিৎসকদের মৌলবাদী করে সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এর পাশাপাশি, সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত ডাক্তারদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সিগন্যাল অ্যাপে তৈরি একটি গ্রুপের মাধ্যমে চলত জইশ-এ-মহম্মদের ফিদায়েঁ মডিউল। সেই গ্রুপের যুক্ত ছিল বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী উমর সহ ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথর ও শাহিন শাহিদ-রা। গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল আদিল রাথেরের ভাই ও জঙ্গি মডিউলের মাথা মুজাফ্ফর রাথের।
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ট্রাইএসিটোন ট্রাইপারোক্সাইড (TATP) সহ অন্যান্য রাসায়নিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই গ্রুপেই জানাতেন উমর। কোন রাসায়নিক কত পরিমাণে কেনা হয়েছে, কোথা থেকে কেনা হয়েছে এবং আগামী প্রস্তুতি কী নেওয়া হবে, সেসব ব্যাপারে ক্রমাগত আপডেট দিতেন উমর।























