Demonetisation Reactions: অর্থনীতি টিকে নগদের উপরই, নেই ২০০০ টাকার নোটও, নোটবন্দির ৯ম বছরে মোদিকে বিঁধলেন বিরোধীরা
Demonetisation Anniversary: কালো টাকার রমরমা শেষ হবে বলে নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন মোদি।

নয়াদিল্লি: ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম নির্বাচন। দিনভর সেই দিকেই নজর ছিল গোটা বিশ্বের। কিন্তু রাত ৮টা বাজতে না বাজতেই থমকে যায় গোটা দেশ। রাতারাতি ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৮ নভেম্বর, মাঝে ন’টি বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু নোটবন্দির সেই স্মৃতি আজও গাঁথা সকলের মনে। SIR থেকে ‘বন্দে মাতরম’ বিতর্ক নিয়ে যখন সরগরম গোটা দেশ, সেই আবহে নোটবন্দির স্মৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধতে শুরু করলেন বিরোধীরা। (Demonetisation Anniversary)
কালো টাকার রমরমা শেষ হবে বলে নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন মোদি। রাতারাতি নোট বাতিল হয়ে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সাধারণ মানুষের। ঘরে গুছিয়ে রাখা নোট নিয়ে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন কাতারে কাতারে মানুষ। সেই টানাপোড়েন, হয়রানিতে প্রাণও হারান ১০০-র বেশি মানুষ। তার পর গঙ্গের বুক দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। পুরনো ৫০০ হাজারের পরিবর্তে চালু হয় নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট। ১০, ২০, ৫০, ১০০ টাকার নোটের চেহারাও বদলে যায়। চালু হয় নতুন ২০০ টাকার নোট। আবার নতুন চালু করা ২০০০ টাকার নোটও তুলে নেওয়ার ঘোষণা হয়। (Demonetisation Reactions)
যদিও এক সপ্তাহ আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ১৯ মে তুলে নেওয়ার ঘোষণা হলেও, এখনও বাজারে ৫ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট রয়ে গিয়েছে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ফিরে গিয়েছে ৯৮.৩৫ শতাংশ ২০০০ টাকার নোটই। যে কালো টাকার রমরমা রোখার জন্য নোটবন্দির প্রয়োজন ছিল বলে দাবি করে কেন্দ্র, পরবর্তীতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে বাতিল করা নোটের ৯৯ শতাংশই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ফিরে যায়। সময়ের সঙ্গে ডিজিটাল লেনদেন বাড়লেও, ব্যবসায়, ভারতীয় অর্থনীতি আজও নগদের উপরই দাড়িয়ে। গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হিসেব দেয়, সেই অনুযায়ী, ভারতের অর্থনীতি এই মুহবর্তে ৩৮. ১৯ লক্ষ কোটি নগদের উপর দাড়িয়ে রয়েছে।
Today is the 9th anniversary of the singularly disastrous, Tughlakian decision relating to demonetisation.
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) November 8, 2025
The livelihoods of crores of Indians were devastated. Trade and MSMEs were crippled. The unorganised sector accounting for over 92% of total employment was destroyed. The…
আর তাই নোটবন্দির ন’বছর পূর্তিতে মোদি এবং তাঁর সরকারকে একযোগে নিশানা করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আজ নোটবন্দির বিপর্যয়মুখী ও তুঘলকি সিদ্ধান্তের ৯ বছর পূর্তি। দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পঙ্গু হয়ে গিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে কর্মসংস্থানের ৯২ শতাংশেরও বেশি অসংগঠিত ক্ষেত্র। কালো টাকা, জাল নোটের পরিমাণ কমেনি। নগদবিহীন অর্থনীতির স্লোগান আজ অর্থহীন। যে ২০০০ টাকার নোট চালু করা হয়েছিল, প্রত্যাহার করা হয়েছে তাও। নোটবন্দি জেরে ভারতের অর্থনীতি সেই যে গতি হারায়, আজও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি’।
On this day, exactly nine years ago, the biggest fraud on Indians. Demonetisation
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) November 8, 2025
PM @narendramodi outside Parliament versus Us, inside Parliament
You judge pic.twitter.com/VzGfBuX5RA
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, ‘আজ থেকে ন’বছর আগে, ঠিক আজকের দিনে ভারতীয়রা সবচেয়ে বড় জালিয়াতির শিকার হন। নোটবন্দি। সংসদের বাইরের প্রধানমন্ত্রী বনাম সংসদের ভিতরের আমরা’। নোটবন্দির ঘোষণা করে মোদিকে সেই সময় বলতে শোনা যায়, “৩০ ডিসেম্বরের পরও যদি কাজে খামতি থেকে যায়, যদি ভুল ধরা পড়ে, খারাপ অভিসন্ধি ধরা পড়ে আমার কাজে, দেশবাসী যে শাস্তি দেবেন, আমি তার জন্য প্রস্তুত।” দেশবাসীর কাছে ৫০ দিন সময় চান মোদি। সেই ভিডিও-ও তুলে ধরেন ডেরেক।
The ‘demonetisation’ of November 8, 2016 was nothing short of a planned surgical strike on India’s economy.
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 8, 2025
It pushed small traders, farmers, labourers, and ordinary citizens to the brink, while only the billionaires reaped profits. No black money returned, no corruption… pic.twitter.com/D6h7zGhc6m
তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলেও নোটবন্দি নিয়ে মোদির সেই সময়ের ভাষণের অংশ পোস্ট করা হয়েছে। তারা লেখে, ‘২০১৬-র ৮ নভেম্বরের নোটবন্দি ভারতীয় অর্থনীতির উপর পরিকল্পিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছাড়া কিছু ছিল না। ছোট ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষকে খাদের কিনারায় ঠেলে দেয়, অথচ পুঁজিপতিরা লাভের আখের গুছিয়ে নেন। কোনও কালো টাকা ফেরেনি, কোনও দুর্নীতি আটকায়নি, শুধু ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে গিয়েছে। আজকাল আর বিজেপি সেই নিয়ে একটি কথাও বলে না। কারণ ওরা জানে, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে নোটবন্দি সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয়’।






















