Turkey Earthquake: মাটির নিচে অস্থিরমতি পাত, ১০ দিনে ৩০০ আফটারশক, ফের কাঁপল তুরস্ক
Turkey-Syria Earthquake: বৃহস্পতিবারও কম্পন অনুভূত হয়েছে মালাটিয়ায়। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৪।
আঙ্কারা: ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ঠিকানা খুঁজে বেড়ানো চলছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় সব হারিয়ে রাস্তায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। গোটা দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তার মধ্যেই ফের বিপর্যয় নেমে এল তুরস্কে। দেশের পূর্বের মালাটিয়া কেঁপে উঠল পর পর চারদিন (Turkey Earthquake)।
ফের বিপর্যয় নেমে এল তুরস্কে
তুরস্কের পূর্বের আনাতোলিয়া অঞ্চলের মধ্যে পড়ে মালাটিয়া। বিধ্বংসী ভূমিকম্পে যখন তছনছ গোটা দেশ, সেই সময় গত চারদিনে ফের একাধিক বার কেঁপে উঠল মালাটিয়া। রিখটার স্কেলে প্রত্যেক বারই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪-এর বেশি (Turkey-Syria Earthquake)।
বৃহস্পতিবারও কম্পন অনুভূত হয়েছে মালাটিয়ায়। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৪। ভূমিকম্প পরবর্তী আফটার শক হিসেবেই এ বারের কম্পনকে উল্লেখ করেছে তুরস্কের বিপর্যয় এবং আপদকালীন বিভাগ। কিন্তু ভূমিকম্পের পর প্রায় দু’সপ্তাহ হতে চলেছে যেখানে, এখনও আফটার শক অনুভূত হওয়ায় আশঙ্কায় বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূগর্ভে দুই পাতের মধ্যেকার ফাটল এখনও স্থিতাবস্থায় আসেনি। তার জন্যই এমন ঘটছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তুরস্ক এবং তার পড়শি দেশ সিরিয়া। তাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে (Turkey Death Toll)। সেই ভূমিকম্পের পর থেকে প্রায় ৩০০ আফটারশক অনুভূত হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত মিলিয়ে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি হেমিমহান কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে সে বার তীব্রতা ছিল ৪.৫। তার একদিন পর, দু’-দু‘বার কেঁপে ওঠে পুতুর্জে। সেখানে আফটরশকের তীব্রতা ছিল ৪.২। ১৫ ফেব্রুয়ারি ৪.৬ তীব্রতায় কেঁপে ওঠে দারেন্দে। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ১২.৪ কিলোমিটার গভীরে। তাই উদ্বেগ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: Jhargram Tree House: অরণ্যেই দিবারাত্রি, মগডালে ভাল-বাসার ঠিকানা, অনন্যকীর্তি বঙ্গতনয়ের
মনিতে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত তুরস্ক। ২০২০ সালেই সে দেশে সবমিলিয়ে ৩৩ হাজার বার কম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে ৩৩২ বার কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.০-র উপরে। ভৌগলিক অবস্থান, টেকটোনিক পাতের গঠনের জন্যই তুরস্ক ভূমিকম্পপ্রবণ দেশের মধ্যে পড়ে। পৃথিবীর বহির্ভাগ মূলত ১৫টি স্তর নিয়ে গঠিত, যাকে টেকটোনিক পাতও বলা হয়। এই পাতগুলির মধ্যেকার সীমানাই গন্ডগোলের মূলে। সেখানে ফাটল থাকে। এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে একটি পাতের উপর অন্যটি থাকে। একটু এদিক ওদিক হলেই নেমে আসতে পারে বিপর্যয়।
প্রায় ৩০০ আফটারশক অনুভূত হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে
তুরস্ক আনাতোলিয়ান টেকটোনিক পাতের উপর অবস্থিত। ইউরেশিয়ান এবং আফ্রিকান পাতের মধ্যে আঁটোসাটো অবস্থান তার। উত্তরে রয়েছে আরবিয়ান প্লেট, তাতে আরও অবরুদ্ধ অবস্থান। ইউরেশিয়ান এবং আনাতোলিয়ান পাতের সংযোগস্থলে রয়েছে একটি ফাটল, যা নর্থ আনাতোলিয়ান ফল্ট লাইন হিসেবে পরিচিত, যা বিপর্যয় ডেকে আনে। নর্থ আনাতোলিয়ান ফল্ট ইস্তানবুলের দক্ষিণ থেকে তুরস্কের উত্তর-পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। অতীতেও এর কারণে একাধিক বার বিপর্যয় নেমে এসেছে।