Bihar Earthquake : দিল্লির আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবার ভূমিকম্প, এবার বাংলার এত কাছে
বিহারের সিওয়ানে রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

নয়া দিল্লি: দিল্লির পর বিহার। ভোর হতে না হতেই কেঁপে ওঠে রাজধানী দিল্লি, নয়ডা,ফরিদাবাদ,গাজিয়াবাদ , গুরুগ্রাম বিভিন্ন এলাকা।ভোর ৫.৩৭ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে দিল্লির মাটি। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিহারের সিওয়ানে রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। National Centre for Seismology-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
সপ্তাহের প্রথম দিন ভয়াবহ ভূমিকম্পে ঘুম ভাঙে দিল্লির। আতঙ্কে বাড়ি থেকে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। একই ছবি দেখা গেল বিহারেও। দিল্লি এনসিআর-এ শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে, বিহারে ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৪ । সোমবার সকাল ৮.২৭ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি সেখান থেকেও।
জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বিহারের সিওয়ান জেলা। দিল্লির রেল স্টেশনে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পর রাজধানীতে ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আতঙ্কে এ রাজ্যও
দিল্লি ও বিহারে পরপর এই ভূকম্পনে এ রাজ্যেও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এরাজ্যের কলকাতা বা পাহাড়ে এমন ভূমিকম্প হবে না তো! তেমনটা হলে কী অবস্থা হবে? এ বছরের শুরুতেই একবার কেঁপে উঠেছিল কলকাতা। তাই আতঙ্কটা বেশি। ভূবিজ্ঞানীদের মতে, উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত, গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশ, এদেশের অনেকটাই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। শতাংশের হিসেবে যা অর্ধেকেরও বেশি। তাই প্রতিটি ভূমিকম্প থেকেই শিক্ষা নেওয়ার সময় এসেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভূমিকম্পপ্রবণ ও মৃদু ভূমিকম্পপ্রবণ জোনের মধ্যেই পড়ে কলকাতা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়ম মেনে নগরায়ন, মাটির ধারণক্ষমতা-সহ একাধিক বিষয়ের ওপর জোর না দিলে ভবিষ্যতে বিপদ রোখা যাবে না।
An earthquake with a magnitude of 4.0 on the Richter Scale hit Siwan, Bihar at 08:02 IST today
— ANI (@ANI) February 17, 2025
(Source - National Center for Seismology) pic.twitter.com/mNcVErOpq6
এদিন দিল্লির ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলকে শান্ত থাকার এবং নিরাপত্তা সতর্কতা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।সম্ভাব্য আফটার শকের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।






















