Shiv Sena Symbol: থামেনি ঠাকরে-শিন্ডে কোন্দল, শিবসেনার দলীয় প্রতীক বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
Election Commission Freezes Symbol: : উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী এবং একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন এখনও থামেনি। পরিস্থিতি দেখে এবার শিবসেনার দলীয় প্রতীক বাজেয়াপ্ত করল নির্বাচন কমিশন।
নয়াদিল্লি: উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী (udhav thackeray) এবং একনাথ শিন্ডে (eknath shindey) গোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন এখনও থামেনি। পরিস্থিতি দেখে এবার শিবসেনার (shiv sena) দলীয় প্রতীক (party symbol) বাজেয়াপ্ত (freeze) করল নির্বাচন কমিশন (election commission)। আগামী ১০ অক্টোবর বেলা ১টার মধ্যে দুই শিবিরকেই নিজেদের দলীয় প্রতীক জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
কী বলল কমিশন?
এই সিদ্ধান্তের অর্থ মোটামুটি স্পষ্ট। আগামী ৩ নভেম্বর অন্ধেরি পূর্ব নির্বাচনী কেন্দ্রে যে উপনির্বাচন হওয়ার কথা, তাতে ঠাকরে শিবির বা শিন্ডে শিবির কেউই শিবসেনার চেনা তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। মাসচারেক আগে তৎকালীন ক্ষমতাসীন শিবসেনা থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন একনাথ শিন্ডে। তার পর আরব সাগরের তীরে অনেক টানাপড়েন চলে। বিস্তর চাপানউতোরের পর বিজেপির সঙ্গে যৌথ ভাবে ক্ষমতায় আসে একনাথ শিন্ডে-র দল। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। তাঁর দাবি ছিল, তিনি-ই অকৃত্রিম শিবসেনা। যদিও প্রথম থেকে সেই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে ও সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। শুরু হয় দলীয় প্রতীক নিয়ে তরজা। এদিন অন্তর্বর্তী নির্দেশে নির্বাচন কমিশন অবশ্য জানায়, দুই শিবিরকেই উপনির্বাচনের জন্য আলাদা প্রতীক দেওয়া হবে। কমিশনের ঘোষিত 'ফ্রি সিম্বল'-র তালিকা থেকে দুই শিবিরকে প্রতীক দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই মর্মেই ১০ অক্টোবর বেলা ১ টার মধ্যে দু-পক্ষকেই প্রতীক জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রেক্ষাপট...
শুক্রবার কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছিল শিন্ডে-শিবির। সূত্রের খবর, তাঁরা দাবি করেন শিবসেনার চেনা তির-ধনুক প্রতীক আসলে তাঁদেরই। এ নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের প্রতিক্রিয়া চায় নির্বাচন কমিশন। শনিবার অর্থাৎ আজকের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জমা দিতে বলা হয়েছিল ঠাকরে শিবিরকে। অন্ধেরি-পূর্ব কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে দলীয় প্রতীক নিয়ে এই টানাপড়েন অন্য মাত্রায় পৌঁছে যাওয়ার নেপথ্যে অন্য কারণ দেখছে রাজনৈতিক মহল। তাদের ব্যাখ্যা, ঠাকরের নেতৃত্ব থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনও ভোটে লড়ছেন একনাথ শিন্ডে। ফলে তাঁর জন্য এটি সম্মানরক্ষার লড়াই। অন্য দিকে, উদ্ধবের জন্য এটি অ্যাসিড টেস্ট। সব মিলিয়ে কেউই দলীয় প্রতীকের দখল ছাড়তে নারাজ।
কী হবে শেষমেশ? অপেক্ষায় মহারাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:বিশ্বকাপ সম্ভাবনা শেষ চাহারের? নেট বোলার হিসেবে যোগ দিচ্ছেন মুকশ, সাকারিয়া