Sabarimala Temple Heist: ভগবানের মূর্তিতেও হাত! মন্দিরের সোনাকে 'তামা' হিসেবে দেখিয়েছিলেন! পুলিশের জালে শবরীমালারই এক আধিকারিক!
তদন্তকারীরা জানতে পারে যে, সুধীশ কুমার শবরীমালার মন্দিরের দরজায় ভাস্কর্যগুলিতে সোনার প্রলেপ দেওয়া স্তরগুলিকে "তামার স্তর" হিসাবে সরকারি নথিতে মিথ্যেভাবে লিপিবদ্ধ করেছিলেন

তিরুঅনন্তপুরম: কেরলের শবরীমালা মন্দিরে সোনা চুরির ঘটনায় এবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে মন্দিরের প্রাক্তন নির্বাহী আধিকারিক সুধীশ কুমার। ইতিমধ্যেই তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানতে পারে যে, সুধীশ কুমার শবরীমালার মন্দিরের দরজায় ভাস্কর্যগুলিতে সোনার প্রলেপ দেওয়া স্তরগুলিকে "তামার স্তর" হিসাবে সরকারি নথিতে মিথ্যেভাবে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি যে তিনি জানতেন যে সেগুলি সোনার তৈরি। SIT এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে তিনি কারচুপি করে প্রধান অভিযুক্ত উন্নিকৃষ্ণন পোট্টিকে সোনা চুরি করতেও সহায়তা করেছিলেন।
সুধীশ কুমার ২০১৯ সালে মন্দিরের এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন। কুমার ১৯৯০-এর দশক থেকেই মন্দির প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং জানতেন যে ১৯৯৮–৯৯ সালের মধ্যে মন্দিরের গর্ভগৃহ ও দ্বারপালক মূর্তিগুলি সোনায় মোড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে যখন ওই মূর্তিগুলির সোনার প্রলেপ নতুন করে দেওয়ার জন্য উন্নিকৃষ্ণণ পট্টির হাতে তুলে দেওয়া হয়, তখন কুমার নথিতে সেগুলিকে ‘তামার পাত’ বলে উল্লেখ করেন।
SIT শবরীমালা মন্দিরের দুটি পৃথক মামলার তদন্ত করছে—একটি দ্বারপালক মূর্তি থেকে সোনা গায়েব হওয়া, অন্যটি মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজার ফ্রেম থেকে সোনা উধাও হওয়ার অভিযোগে।
তদন্তে আরও এক অভিযুক্ত—প্রাক্তন প্রশাসনিক আধিকারিক বি. মুরারী বাবুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া উন্নিকৃষ্ণন পট্টির ঘনিষ্ঠ সহচর বাসুদেবনকেও জেরা করা হয়েছে। শবরীমালা থেকে গয়না চুরির ঘটনায় বেশ কয়েক জায়গায় তল্লাশি চালাল বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা (সিট)। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত উন্নিকৃষ্ণণ পট্টির বেঙ্গালুরুর বাড়ি এবং বল্লারির একটি গয়নার দোকানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সোনার বাট। তদন্তের স্বার্থে পট্টিকে শুক্রবার বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শবরীমালার গর্ভগৃহ ‘শ্রীকোভিল’-এর দেওয়ালের মূর্তি থেকে সোনা উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিগ্রহের মেরামতির জন্য ২০১৯ সালের জুলাই মাসে মূর্তি ওজন করতেই দেখা যায় ৪.৫৪ কেজি সোনা উধাও। মন্দিরের হিসাবরক্ষকেরা রেকর্ডে সোনার প্রলেপ দেওয়া মূর্তিগুলিকে ‘তামার তৈরি’ বলে লিখেছিলেন, এই অভিযোগই উঠেছিল।






















