First Sunrise In India : ভারতের প্রথম সূর্যের আলো পায় ৩৫ জনের এই গ্রাম !
জানেন কী ভারতের কোন অঞ্চলের মানুষ প্রথম সূর্যরশ্মির স্পর্শ পান ? ভোর ৪ টের সময় এখানে ঝকঝকে দিন
কলকাতা : কথায় বলে, মর্নিং শোজ দ্য ডে। দিনের শুরুটাই বলে দেয় দিনটা কেমন কাটবে। দিনের শুরুটা সকলের কাছেই বিশেষ সময়। দিনের শুরুটা যাতে ভাল কাটে, সেই প্রার্থনা থাকে সকলেরই। অনেকেই মনে করেন, প্রতিদিন সূর্যোদয় মানে একটা নতুন দিন, নতুন জীবন। জানেন কী ভারতের কোন অঞ্চলের মানুষ প্রথম সূর্যরশ্মির স্পর্শ পান ? রাজ্যের নাম অরুণাচল, এটা অনেকেরই জানা। কিন্তু অরুণাচলের কোথাকার মানুষ প্রথম সূর্যদর্শন করেন, জানেন ?
আমরা জানি, পৃথিবী তার অক্ষের উপর ঘুরছে, যার জন্য দিন এবং রাত হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন ভারতের প্রথম সূর্যোদয় কোথায় হয়? বেশিরভাগ মানুষই জানেন যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতে প্রথম দিন শুরু হয়। অরুণাচল প্রদেশেরই একটি গ্রামে সূর্যের রশ্মি পৌঁছায় দেশের বাকি অংশে পৌঁছানোর আগেই।
সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে কোথায়
অরুণাচল প্রদেশের সেই বিশেষ জায়গার কথা খুব কম মানুষই জানেন, যেখানে সূর্যের রশ্মি প্রথমে পড়ে। অরুণাচল প্রদেশে প্রথমে সূর্য ওঠে। সূর্যের রশ্মি প্রথম এই রাজ্যের মাটিতে এসে পড়ে। অরুণাচল প্রদেশের সেই স্থান, যেখানে সূর্য প্রথম দেখা যায় তা হল ডং উপত্যকার ভেদাং উপত্যকা। ভারত, চিন এবং মায়ানমারের সংযোগস্থলে অবস্থিত, অরুণাচল প্রদেশের এই ছোট্ট গ্রামটিকে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে ভারতের প্রথম গ্রামও বলা যেতে পারে। ভারতে সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে ত্রিদেশীয় সংযোগস্থলে এই গ্রামের মাটিতে।
নতুন বছরে সূর্যের প্রথম রশ্মি দেখতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে আসেন। দিল্লিতে যখন বিকেল চারটে, তখন এখানে রাত। ভোর ৩টে থেকে এখানে সূর্যের লাল রশ্মি দেখতে পাওয়া যায়। এখানে সন্ধ্যা প্রায় সকালের মতই। বছরের যে কোনও সময় ডং গ্রামে গেলেই এই অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে ভ্রমণের সেরা সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে। যখন দিল্লি এবং মুম্বই সহ দেশের বেশিরভাগ অংশ ভোর ৩ টেয় থাকে গভীর ঘুমে, তখন সূর্যের প্রথম রশ্মি এই ডং গ্রামে পড়ে এবং ভোর ৪ টের মধ্যে আলোয় ভরে যায় এলাকাটি।
এখানে দিন ১২ ঘণ্টা
ডং গ্রামে দিনের আলো প্রায় ১২ ঘন্টা দেখা যায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ যখন বিকেল ৪টায় চা বানান, তখন এই গ্রামে রাত। মানুষ রাতের খাবার রান্না আর ঘুমের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই ডং গ্রাম। এটি প্রায় ১২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ।লোহিত এবং সতী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই গ্রাম। এই গ্রামে চিন ও মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত মিলিত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, এই গ্রামের জনসংখ্যা মাত্র ৩৫ জন।
আন্দামানের কুচ্ছল দ্বীপের এই মর্যাদা ছিল
১৯৯৯ সালের আগে, মনে করা হত, ভারতে সূর্যের প্রথম রশ্মি আন্দামানের কুচ্ছল দ্বীপে পড়ে। অরুণাচলের এই গ্রামটির কথা ১৯৯৯ সালে সামনে আসে। দেখা যায়, আন্দামানে নয়, অরুণাচল প্রদেশের ডং গ্রামে প্রথম সূর্যোদয় ঘটে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর পর্যটক, প্রকৃতিপ্রেমীদের আনাগোনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এই স্থানে।