বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
কলকাতা: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আজ ফের তাঁকে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক। নিজেই খাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়মিত বাইপ্যাপ দিয়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
গত ১৮ মে, বুদ্ধেব ভট্টাচার্যের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকে বাড়িতেই চিকিত্সাধীন ছিলেন। সূত্রের খবর, সোমবার রাত থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। মঙ্গলবার সকালে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮২ হয়ে যায়। এরপরই তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে উডল্যান্ডস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল হাসপাতালর তরফে জানানো হয়, দুটি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে গতকালও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রেমডেসিভির দেওয়া হয়। পাশাপাশি, প্রয়োজন হলে টকিলিজুমাব দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয় তন্দ্রাচ্ছন্নভাব রয়েছে। তবে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন বলেও জানা গিয়েছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। সোমবারই ফিরেছিলেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু, মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার খানিকক্ষণের মধ্যে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।তাঁকে ফের উডল্যান্ডস-এই ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীকে। হাসপাতাল সূ্ত্রে খবর, মীরা ভট্টাচার্যের অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি।
সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। ব্রিগেডে দেখা যায়নি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনকি শারীরিক কারণে এ বছর ভোটও দিতে পারেননি তিনি। বাইরে বেরনোর অনুমতি পাননি চিকিৎসকদের থেকে। কয়েকমাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাঁর কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু সেই সময়ে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।