লকডাউনে আসতে পারেনি ছেলেরা, মৃত হিন্দুর দেহে কাঁধ দিলেন প্রতিবেশী মুসলিম যুবকরা
যুবকরা জানান, বৃদ্ধার সৎকার করা তাঁদের কর্তব্য বলেই মনে হয়েছিল
ভোপাল: করোনা লকডাউনের মধ্যেই ভারতীয় সংস্কৃতির সমন্বয়বাদ ও সৌভ্রাতৃত্বের নিদর্শন উঠে এল মধ্যপ্রদেশে।
খবরে প্রকাশ, গতকাল দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা যান ইনদৌরের জনৈক বাসিন্দা ৬৫ বছরের দ্রৌপদী বাঈ। বৃদ্ধার ছেলেরা কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। বর্তমানে, লকডাউন হয়ে যাওয়ায় তাঁরা কেউ-ই মায়ের শেষ সময়ে পৌঁছতে পারেননি।
এই পরিস্থিতিতে ইনদৌরে মৃতার সৎকারের দায়িত্ব তুলে নিলেন তাঁর মুসলিম প্রতিবেশী যুবকরা। জানা গিয়েছে, ওই যুবকরা যখন জানতে পারেন যে, বৃদ্ধাকে কাঁধ দেওয়ার কেউ নেই, তখন তাঁরাই কাঁধে করে মৃতদেহ প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ হেঁটে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।
আবার একইসঙ্গে, নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে ওই যুবকরা মাস্ক পরেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। খবরে প্রকাশ, ওই যুবকরা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধাকে তাঁরা নিজেদের শৈশব থেকে চিনতেন। ফলে, তাঁর সৎকার করাটা তাঁদের কাছে কর্তব্য বলেই মনে হয়েছে।
ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কংগ্রেস নেতা কমলনাথ নিজের ট্যুইটার পেজে ওই ছবি শেয়ার করে যুবকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, এটা সমাজের কাছে একটা দুরন্ত উদাহরণ।
इंदौर के नार्थ तोड़ा क्षेत्र में एक बुजुर्ग हिन्दू महिला द्रोपदी बाई की मृत्यु होने पर क्षेत्र के मुस्लिम समाज के लोगों ने उनके दो बेटों का साथ देकर उनकी शवयात्रा में कंधा देकर व उनके अंतिम संस्कार में मदद कर जो आपसी सदभाव की व मानवता की जो मिसाल पेश की,वो क़ाबिले तारीफ़ है। 1/2 pic.twitter.com/IIQe8qgMQG
— Office Of Kamal Nath (@OfficeOfKNath) April 7, 2020
তিনি বলেন, এটা প্রশংসনীয় যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন এক হিন্দুর দেহ কাঁধে তুলে সৎকারে অংশ নিচ্ছে। এটা সমাজের কাছে একটা উদাহরণ। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের গঙ্গা-যমুনা সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটছে। এই ছবি পারস্পরিক ভালবাসা ও সৌভ্রাতৃত্ব মেলে ধরে।