Pakistan News:ইউরোপে বেআইনি ভাবে পৌঁছনোর পথে ট্রলার ডুবে মৃত্যু ৩০০ পাক নাগরিকের, ধৃত ১০ 'পাচারকারী'
Greek Boat Tragedy:একটু ভাল থাকবেন, এই স্বপ্ন নিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওঁরা। কিন্তু পৌঁছনো হয়নি। মাঝপথে, গ্রিসের পেলোপনিস উপদ্বীপের কাছে উপসাগরে ডুবে মারা গেল ওঁদের ট্রলার।
![Pakistan News:ইউরোপে বেআইনি ভাবে পৌঁছনোর পথে ট্রলার ডুবে মৃত্যু ৩০০ পাক নাগরিকের, ধৃত ১০ 'পাচারকারী' Greek Boat Tragedy Took Life Of At Least 300 Pakistanis While 10 Allegedly Involved In Trafficking Got Arrested Pakistan News:ইউরোপে বেআইনি ভাবে পৌঁছনোর পথে ট্রলার ডুবে মৃত্যু ৩০০ পাক নাগরিকের, ধৃত ১০ 'পাচারকারী'](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/06/19/aaf6bf3340abb7be03808d8a3ca811191687150889404482_original.png?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: একটু ভাল থাকবেন, এই স্বপ্ন নিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওঁরা। কিন্তু পৌঁছনো হয়নি। মাঝপথে, গ্রিসের পেলোপনিস উপদ্বীপের কাছে উপসাগরে ডুবে মারা গেল ওঁদের ট্রলার। মারা গেলেন পাকিস্তানের ৩০০ জন বাসিন্দা যাঁদের প্রত্যেকের লক্ষ্য় ছিল, যেনতেনপ্রকারেণ বেআইনি উপায়ে ইউরোপের দেশগুলিতে পৌঁছে যাওয়া। মর্মান্তিক এই ট্রলার দুর্ঘটনায় ৩০০ জনের মৃত্য়ুর পর নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান প্রশাসন। পাচারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন পাক কর্তৃপক্ষ।
প্রেক্ষাপট...
প্রত্যেক বছরই বেআইনি ভাবে ইউরোপের দেশগুলির উদ্দেশে পাড়ি দেন পাকিস্তানের হাজার হাজার বাসিন্দা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইউএন রিফিউজি এজেন্সির দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকোটিতে ৪০০ থেকে সাড়ে ৭০০ জন ছিলেন। কিন্তু মরচেধরা ট্রলারটি গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। শনিবার, পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ১২ জনকে বাঁচানো গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কত জন পাক নাগরিক ওই নৌকোয় সফর করছিলেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য় ছিল না তাদের কাছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সোমবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সে সঙ্গেই জানানো হয়েছিল, বেআইনি ভাবে পাচারের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হবে। 'কড়া শাস্তিরও' ব্যবস্থা করা হবে তাঁদের।
কারা গ্রেফতার?
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, যে দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৯ জন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ওই নৌকোয় যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও সিংহভাগ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বসবাসকারী। ধৃত দশম ব্যক্তি পাকিস্তানের গুজরাত শহরের। বেশিরভাগ শরণার্থীই এখানকার, জানতে পেরেছে প্রশাসন। এক স্থানীয় আধিকারিক জানাচ্ছেন, দশ জনের প্রত্যেকের ভূমিকাই আপাতত তদন্তের আওতায়। গোটা প্রক্রিয়ায় তাঁরা কী ভাবে ও কতটা জড়িত, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই ভেঙে পড়েছে যে আতঙ্কের জেরে বহু নাগরিকই বৈধ বা অবৈধ, যে কোনও উপায়ে দেশ ছাড়ার জন্য উদগ্রীব। তার উপর রাজনৈতিক অস্থিরতাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এখানে। মূলত পাক পাঞ্জাবের পূর্ব অংশ ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তরুণ নাগরিকরা, ইরান, লিবিয়া, তুরস্ক এবং গ্রিস হয়ে পূর্ব ইউরোপে ঢোকার জন্য বেইআইনি পথে হাঁটতেও দ্বিধা করেন না। কিন্তু তার পরিণতি যে এতটা মর্মান্তিক হতে পারে, কেউ ভেবেছিলেন কি?
আরও পড়ুন:কোঁকড়ানো চুল ধুয়ে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম অতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)