DA Case : DA নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের কী নির্দেশ, আজ শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা
Hearing of DA case : বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বকেয়া DA মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সর্বোচ্চ আদালত কী নির্দেশ দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টে আজ বকেয়া DA মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। গত বছরের ২০ মে, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে।
রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও, তা খারিজ করে দেয় আদালত। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। এর মধ্যে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। সোমবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বকেয়া DA মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সর্বোচ্চ আদালত কী নির্দেশ দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
আরও পড়ুন -
'কবির জন্য অজয় নদে গঙ্গা প্রবাহিত হয়ে আসে' জয়দেব-কেঁদুলি মেলা ঘিরে কী কী বিশ্বাস?
DA মামলার প্রেক্ষাপট
কলকাতা হাইকোর্টের বকেয়া DA মেটানোর রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, বকেয়া DA নিয়ে রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মানেনি, এই অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩টি সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেয়, আপাতত আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হবে না হাইকোর্টে।
পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী যে ৩৪ শতাংশ DA-র ফারাক ছিল, তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায়, গত ২০মে , কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও ২২ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে দেয় আদালত।
হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৪ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। গত ৫ডিসেম্বর, সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে চলা অবমাননা মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের দায়ের করা ডিএ মামলা নিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন দেওয়া হয় ১৪ ডিসেম্বর । সেদিন মামলার শুনানি হয়নি, কারণ মামলা ছাড়েন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ ।