Dol Purnima 2023: দোল হোক বা হোলি, উদযাপন করতে এই ৫টি জায়গা রাখতেই হবে তালিকায়
Holi 2023: রং খেলতে, রঙের উৎসব চোখ ভরে দেখতে বহু পর্যটক ভিড় জমান ভারতের নানা প্রান্তে। তার মধ্যেই বেছে নেওয়া যায় ৫টি জায়গা
কলকাতা: বিভিন্ন ভাষা, বিভিন্ন প্রথা, নানা রকম আচার-আদব কায়দা। কিন্তু তবুও গভীরভাবে একসূত্রে বাঁধা ভারত। হয়তো সারা দেশে হওয়া উৎসব তারই একটি সূত্র। ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের মধ্যে একটি হোলি বা দোলযাত্রা। বিভিন্ন প্রদেশে প্রায় একই সময়ে রঙের উৎসব হয়, তবে নাম ভিন্ন। কিন্তু মেজাজটা একই থাকে। ভারতের যে যে উৎসবে বিদেশি পর্যটকদের ঢল নামে তার মধ্যে অন্যতম হোলি (Holi 2023)। রং খেলতে, রঙের উৎসব চোখ ভরে দেখতে বহু পর্যটক ভিড় জমান ভারতের নানা প্রান্তে। তবে তার মধ্যে পাঁচটি জায়গা আলাদা করে নেওয়াই যায়। যা সারা দেশের মধ্যে নিজ নিজ কারণে স্বতন্ত্র।
মথুরা:
পুরাণমতে মথুরা (Mathura) ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান। ফলে সেখানে হোলির মাহাত্ম্য বাকি সবার থেকে আলাদা। প্রতিবছর সপ্তাহভর ধরে এখানে রঙের উৎসব চলে। নাচ-গান, মাখনের হাঁড়ি ফাটানো থেকে রাসলীলা--কৃষ্ণনামে ডুবতে এখানে হয় সব আয়োজন।
বৃন্দাবন:
মথুরা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বৃন্দাবন (Vrindaban)। কৃষ্ণের নামের সঙ্গে জড়িয়ে এই জায়গা। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ 'লাঠমার হোলি'- মূল হোলির বেশি কিছুদিন আগেই এটা শুরু হয়। বরসানা ও নন্দগাওঁয়ে মূলত এটি হয়। কাহিনি রয়েছে রাধা ও তাঁর বন্ধুরা- কৃষ্ণ এবং তাঁর বন্ধুদের বরসানা থেকে দূরে রাখতে খেলাচ্ছলে লাঠি নিয়ে তাড়া করত। সেই কাহিনি অনুযায়ী এখানে ছেলেদের লাঠি নিয়ে মারার চল রয়েছে, আর ছেলেরা একটি ঢাল নিয়ে সেই আঘাত আটকায়।
আনন্দপুর সাহিব:
একই সময়ে রঙের উৎসব পালন করে শিখধর্মাবলম্বীরাও। পঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিবে (Anandpur Sahib) 'হোলা মহল্লা' নামে ওই উৎসব ৩ দিন ধরে চলে। রং, খেলা এবং শিখ মার্শাল আর্টের দুরন্ত প্রদর্শনী চলে এখানে। এই উৎসব দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান।
শান্তিনিকেতন:
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) দোল উৎসবের জন্য বিখ্যাত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য এই জায়গা। রবি ঠাকুরের তৈরি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বসন্ত উৎসব আয়োজন করা হয় প্রতিবাদ। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা যোগ দেয়। আগে আপামর সাধারণ মানুষ এতে যোগ দিতে পারত। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করে দিয়েছে। দোলের দিন সেই অর্থে বসন্ত পঞ্চমী অনুষ্ঠানও আর নেই। কিন্তু শান্তিনিকেতন রয়েছে। সেখানে নানা জায়গায় দোলযাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সঙ্গে থাকে রবীন্দ্র সঙ্গীত, আবির আর গুচ্ছ গুচ্ছ পলাশ। এই সময়ে শান্তিনিকেতনের সৌন্দর্য দেখতেও ভিড় জমান অনেকে।
পুষ্কর ও উদয়পুর:
রাজস্থানের এই শহর বিলাসবহুল প্রাসাদ এবং লেকের জন্য বিখ্যাত। সারাবছরই এখানে ভিড় থাকে পর্যটকদের। তবে হোলির আকর্ষণ আলাদা। রাজস্থানের (Rajasthan) সর্বত্রই খুব বড় করে রঙের উৎসব উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন প্রাসাদে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, সেখানে ভিড় জমান বহু উৎসাহী। পুষ্করে (Pushkar) বসে হোলি মেলা। সেখানে উটের খেলা থেকে রঙের উৎসব, রকমারি খাওয়া-দাওয়া বাদ নেই কিছুই।
আরও পড়ুন: 'হোলিকা দহনে'র পিছনে কোন পৌরাণিক কাহিনি? সারা দেশে কখন উদযাপন?