(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
অমিতের মধ্যাহ্নভোজের পরই বাড়িতে শাসক-বিরোধীরা, "আমি খেটে খাওয়া মানুষ, রাজনীতির জন্য সময় কোথায়? প্রতিক্রিয়া বিভীষণ হাঁসদার
বাঁকুড়ার হাঁসদা পরিবারকে নিয়ে এখন রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি তুঙ্গে...
বাঁকুড়া: অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজের পরেই বাঁকুড়ার আদিবাসী পরিবারকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
বৃহস্পতিবার এই আদিবাসী পরিবারে অমিত শাহের পাত পড়ার পর থেকেই শিরোনামে চতুরডিহি গ্রামের এই পরিবার! শনিবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্যা তথা তৃণমূল নেত্রী সোনাই মুখোপাধ্যায়। তুলে দেওয়া হয় চাল-ডাল-কাপড়-নগদ টাকা!
তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, রবিবার বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে যান বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তাঁর দাবি, মধ্যাহ্নভোজের দিন ওই আদিবাসী পরিবার তাদের মেয়ের অসুস্থতার কথা অমিত শাহকে জানিয়েছিল। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই ওই কিশোরীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
সুভাষ সরকার বলেন, অমিত শাহের নির্দেশে গিয়েছিলাম। মেয়ের চিকিত্সা নিয়ে কথা বলি। এটা নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই। আমরা চিকিত্সা হোক এটা চাই। তাহলে বিজেপির তরফ থেকেও তৃণমূলকে সাহায্য করা হচ্ছে। আমরা কিন্তু বলছি না বিভীষণ আমাদের সমর্থক।
এনিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ওই আদিবাসী পরিবার তাদের সমর্থক। তাই তাদের মেয়ের চিকিৎসার দায় তৃণমূল নেতৃত্বের। পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, বিভীষণ হাঁসদা আমাদের সমর্থক।
এখানেই শেষ নয়। সুভাষ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেখানে হাজির হলেন স্থানীয় বিডিও!
আদিবাসী পরিবারের গৃহকর্তা অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলেরই সদস্য নন। বিভীষণ হাঁসদা বলেন, আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই। হতেও চাই না। আমার সময় কোথায়? আমি খেটে খাওয়া মানুষ।
সবমিলিয়ে বাঁকুড়ায় বিভীষণ হাঁসদা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।