মেয়ে হওয়ার আনন্দে বিনা মূল্যে চুল কেটে দিলেন ক্ষৌরকর্মী
পরিবার, সমাজে কন্যা সন্তানের গুরুত্বের ব্যাপারে আইন প্রণয়ন, সরকারি নির্দেশিকা জারি করেও সচেতন করা যাচ্ছে না মানুষকে। বিভিন্ন প্রচার করেও কন্যাভ্রুণ হত্যার মতো ঘটনা অব্যাহত সারা দেশে। ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে নতুন দিশা দেখালেন সলমন।
ভোপাল: কন্যা সন্তান কোনও বোঝা নয়, বরং বেঁচে থাকার ভরসা। সুখে, আনন্দে থাকার আরেক উত্স কন্যা সন্তান। অভিনব পদ্ধতিতে এই বার্তা দিলেন এক তরুণ। কোল আলো করে পৃথিবীতে এসেছে কন্যা সন্তান। আর সেই উপলক্ষে বিনামূল্যে চুল কাটলেন মধ্য প্রদেশের গালিওরের বাসিন্দা সলমন। একটা নয়, নিজের তিনটি সেলুনে তিনি বিনামূল্যে পরিষেবা দেন।
পরিবার, সমাজে কন্যা সন্তানের গুরুত্বের ব্যাপারে আইন প্রণয়ন, সরকারি নির্দেশিকা জারি করেও সচেতন করা যাচ্ছে না মানুষকে। বিভিন্ন প্রচার করেও কন্যাভ্রুণ হত্যার মতো ঘটনা অব্যাহত সারা দেশে। ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে নতুন দিশা দেখালেন সলমন। মেয়ে হওয়ার খুশিতে গতকাল বিনামূল্যে চুলে কেটে দেন তিনি। কিন্তু কন্যা সন্তান হওয়ায় জাঁকজমক পূর্ণ আয়োজন করে অনুষ্ঠান নয়, চেয়েছিলেন অভিনব কিছু করতে। আর তাই সচেতনতা প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এদিন সংবাদ মাধ্যমকে সলমন বলেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমি সবাইকে বলতে চাই, কন্যা সন্তান আপনার বা সমাজের বোঝা নয়। বরং সম্পদ। আনন্দে থাকার অন্যতম নাম কন্যা সন্তান। কন্যা সন্তান হলে কারও দুঃখ পাওয়া উচিৎ না। বরং মেয়ে সন্তানের বাবা বা মা হলে তা জীবনভর উদযাপন করুন।
বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার বিজ্ঞাপন সেলুনের বাইরেও টাঙানো হয়। যেখানে লেখা, পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ায় ৪ জানুয়ারি বিনামূল্যে সেলুন পরিষেবা দেওয়া হবে।
গত ২৬ ডিসেম্বর কন্যা সন্তানের বাবা হন সলমন। তিনি বলেন, কন্যা সন্তান হলে সাধারণত সবাই দুঃখ পায়। লিঙ্গের কারণে নয়, সন্তান, ছেলে বা মেয়ে, যাই হোক, নবজাতক আসার খুশিতে আনন্দ করুন। তার পৃথিবীতে আসাকে উদযাপন করুন। তাই গতকাল বিনামূল্যে পরিষেবা দেব বলে ঠিক করি। ৩টি সেলুন মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০ জনকে বিনামূল্যে পরিষেবা দিই। প্রায় ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকার বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়েছি। সেলুন মালিকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন গ্রাহকরাও। এক গ্রাহকের কথায়, এটা সমাজের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বার্তা। আমাদের প্রত্যেকের উচিত কন্যা সন্তান হলে আনন্দ করা।