ভ্যাক্সিনের অভাব নেই, বলছে কেন্দ্র; চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার গ্রাফ
সম্প্রতি দেশে ভ্যাক্সিনের জোগান নিয়ে কথা ওঠে। গতকাল যার উত্তর দেন স্বাস্থ্যসচিব। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪০ লক্ষ ভ্যাক্সিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গতকাল থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে অব্যবহৃত ডোজের সংখ্যা ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার।এই পরিসংখ্যানই দেখিয়ে দেয় দেশে করোনার ভ্যক্সিনের কোনও অভাব নেই।
দিল্লি : করোনার পুরোনো রেকর্ড ভাঙছে নতুন ঢেউ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসেছে যেখানে দেশে বেড়েই চলেছে করোনার গ্রাফ। যা চিন্তায় ফেলেছে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। মঙ্গলবার যা স্বীকার করে নিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের 'হেলথ ব্রিফিংয়ে' তিনি বলেন, ''ভারতে ৮৯.৫১ শতাংশ মানুষ করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। সারা দেশে এই ভাইরাসের কবলে ১.২৫ শতাংশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৯.২৪ শতাংশ। আমরা যদি পুরোনো উর্ধ্বমুখী গ্রাফের দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাব ইতিমধ্যেই সেই চূড়া অতিক্রম করেছি। এবার ক্রমশই ওপরের দিকে উঠছে গ্রাফ। যেটা সত্যিই চিন্তার কারণ।''
দেশের করোনা পরিস্থিতি বলছে, বহু রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনার গ্রাফ। কম আরটিপিসিআর পরীক্ষার পরও এই কোভিড পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে অনেক রাজ্যে। এদিন যার ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। তিনি জানান, যদি কোনও জায়গায় আরটিপিসিআর টেস্ট বৃদ্ধি পায় তাহলে সেখানে করোনার আপেক্ষিক বৃদ্ধি দেখা যাবে। মহারাষ্ট্রে যেমন প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত কিছু সপ্তাহে বাড়তে বাড়তে তা দিনে কমপক্ষে ৫৭ হাজারের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি ১০ লক্ষে করোনা টেস্টের হিসাবও এই রাজ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আরটিপিসিআর টেস্ট এই রাজ্যে কমে এসেছে।
পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, ছত্তিশগড়ে করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। সেখানে সপ্তাহে কোভিড পজিটিভের রেট ১.৫ শতাংশ থেকে ২৭.৯ শতাংশে পৌঁছে গেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই রাজ্যে প্রতিদিন সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২০০। এখন সেখানে দৈনিক পজিটিভের সংখ্যা ১১,৫০৪জন। এখানেও প্রতি ১০ লক্ষে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানে আরটিপিসিআর টেস্টের গড় ২৮-৩০ শতাংশ। কিন্তু এই টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
এদিন উত্তরপ্রদেশের করোনা প্ররিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যসচিব। তিনি বলেন, আগে উত্তরপ্রদেশে দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৯। সেখানে সেই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১০ হাজারে। এখানে দৈনিক গড় আরটিপিসিআর ''টেস্ট হয় ৪৪-৪৫ শতাংশ। বর্তমানে রাজ্যে সাপ্তাহিক করোনা পজিটিভটি রেট ৪.৮৪ শতাংশ। যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ।''
এখানেই শেষ নয়। দেশে করোনা পরীক্ষা বাড়াতে আইসিএমআর-এর মাধ্যমে সরকার মোবাইল ল্যাবের ব্যবস্থা করেছে। দেশীয় গবেষণার মাধ্যমেই এই পরীক্ষা পদ্ধতি আরও নিপুণ করা হয়েছে। এখন এই মোবাইল ল্যাবগুলি চালায় কিছু বেসরকারি সংস্থা।অনেক সস্তায় এই মোবাইল ল্যাব থেকে
মানুষ কেরোনা টেস্ট করাতে পারেন।