Pakistani Drone Spotted : উপত্যকায় আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর ফের পাকিস্তানি ড্রোন, নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি অভিযান
Indian Security Forces: রামরড় সেক্টরের নাঙ্গা গ্রামে শুক্রবার রাতের দিকে সেটিকে দেখা যায়। যার জেরে সীমানা এলাকায় নিরাপত্তা-তৎপরতা আরও বেড়ে যায়।

সাম্বা/জম্মু : উপত্যকায় ফের পাকিস্তানি ড্রোন। জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর গ্রামে ড্রোনটি উড়তে দেখা যায়। তার পরেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। ড্রোনের-মতো দেখতে ওই বস্তুটিকে পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে আসতে দেখা যায়। রামরড় সেক্টরের নাঙ্গা গ্রামে শুক্রবার রাতের দিকে সেটিকে দেখা যায়। যার জেরে সীমানা এলাকায় নিরাপত্তা-তৎপরতা আরও বেড়ে যায়।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তাবাহিনী ও পুলিশ দল মোতায়েন করা হয়। সীমান্তের ওপার থেকে মাদকদ্রব্য এবং অস্ত্রের মতো কোনও পেলোড যেন আকাশপথে না ফেলা হয় তা নিশ্চিত করা হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তখনও তল্লাশি অভিযান চলছিল। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
'সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা বন্ধ করুন, নাহলে ভৌগলিক অস্তিত্বই হারিয়ে ফেলবেন।' আগের দিনই পাকিস্তানকে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছিল ভারত। সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছিলেন, 'পাকিস্তান যদি মানচিত্রে তাদের জায়গা ধরে রাখতে চায়, তাহলে রাষ্ট্রপোষিত সন্ত্রাসবাদ তাদের থামাতে হবে।' রাজস্থানের অনুপগড়ে সেনাঘাঁটিতে বক্তব্য রাখছিলেন সেনাপ্রধান। সেখানে তিনি পরিষ্কার বলেন, 'ভারতীয় বাহিনী এবার কোনও সংযম দেখাবে না।' অর্থাৎ, ইসলামাবাদ যদি সন্ত্রাস রফতানি বন্ধ না করে, তাহলে 'অপারেশন সিন্দুর'-এর দ্বিতীয় সংস্করণ খুব বেশি দূরে থাকবে না বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
সেনাপ্রধানের কথায়, "এবার আমরা অপারেশন সিঁদুর ১.০-তে যে সংযম বজায় রেখেছিলাম তা আর বজায় রাখব না। এবার আমরা এমন কিছু করব যা পাকিস্তানকে ভাবতে বাধ্য করবে যে তারা ভূগোলে তার স্থান ধরে রাখতে চায় কিনা। পাকিস্তান যদি ভূগোলে তার স্থান ধরে রাখতে চায়, তাহলে তাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে।" তিনি জওয়ানদের প্রস্তুত থাকতে বলেন। "ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে, আপনারা শীঘ্রই একটা সুযোগ পাবেন। শুভকামনা রইল," এমনই বলেন সেনাবাহিনী। জেনারেল দ্বিবেদীর এই সতর্কবার্তার আগে এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং- মন্তব্য করেন যে, ভারতীয় বাহিনী মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ এবং চিনা জেএফ-১৭ সহ চার থেকে পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য ভারত এই মেগা সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। ৭ মে ভারতীয় বাহিনী দূরপাল্লার নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। এরপরই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও আতঙ্কিত পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতে আসতে বাধ্য হয়।






















