Sheikh Hasina: ফাঁসির সাজা হাসিনাকে, প্রত্যর্পণ চায় বাংলাদেশ! 'ভারত চায়...' কী প্রতিক্রিয়া দিল্লির?
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সয়াল এক্স-এ পোস্ট করেছেন। সেই বিবৃতিতে লেখা, 'ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের স্বার্থে দায়বদ্ধ ভারত।'

নয়া দিল্লি: ফাঁসির সাজা দিয়ে হাসিনার প্রত্যর্পণ চায় বাংলাদেশ। মৃত্যুদণ্ডের পরই শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের প্রত্যর্পণের আর্জি বাংলাদেশের। ভারতের কাছে ২ জনকে হস্তান্তরের আর্জি জানাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল্লির। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সয়াল এক্স-এ পোস্ট করেছেন। সেই বিবৃতিতে লেখা, 'ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের স্বার্থে দায়বদ্ধ ভারত। ভারত চায়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, শান্তি, স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক। বাংলাদেশে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গঠনমূলক ভূমিকা ভারতের'।
এদিকে, হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, 'হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে আশ্রয় দেওয়া অবন্ধুসুলভ আচরণ। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফিরিয়ে না দিলে ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার সামিল। ২ দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে হস্তান্তর করা উচিত'।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি ভাঙার চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ির সামনে হাজির সেনা-পুলিশ, জমায়েত বিক্ষোভকারীদেরও। বিক্ষোভ হঠাতে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে সেনা-পুলিশ। ধানমন্ডিতে ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের, পাল্টা লাঠিচার্জ সেনা ও পুলিশের। পুলিশের লাঠিচার্জের পাল্টা সেনা-পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বিক্ষোভকারীদের।
এদিকে, ট্রাইবুনালের মৃত্যুদণ্ডের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া শেখ হাসিনার। মুজিব-কন্যা বলেন, 'গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না মেনে রিগিং করে ট্রাইবুনালের রায়। পক্ষপাতমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশে রায় ঘোষণা। মৌলবাদীদের ইচ্ছেতেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা। ইউনূস-শাসনে অরাজকতার শিকার লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি। আন্তর্জাতিক ক্রাইম ট্রাইবুনালের মাধ্যমে আওয়ামিকে বলির পাঁঠা করার চেষ্টা। ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর মরিয়া চেষ্টা'। শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা ঘোষণার পাল্টা শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কমলেরও মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইউনূস সরকারের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কমল বলেন, 'আমার বাসায় বৈঠকগুলি হত। এটা একটা অফিসিয়াল বৈঠক। সমস্ত বাহিনীর প্রধানরা এখানে থাকতেন। আমাদের কার্ফু দিতে হয়েছিল এই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য। সেটাও আপনারা জানেন। প্রতিদিন কী ঘটনা ঘটছে এবং কোথায় কী হচ্ছে এটা নিয়ে মিটিংটা হত। এটা মিটিং কাউকে হত্য়া করার জন্য কিংবা কোনও নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নয়। হেলিকপ্টারের কথা আসছে। রাবের হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে, এটা বলা হয়েছে। রাবের হেলিকপ্টার অত্যন্ত একটা ছোট হেলিকপ্টার। এটা দিয়ে টার্গেট কিলিং অসম্ভব। এই হেলিকপ্টারগুলো আমরা কাজে লাগিয়েছিলাম যেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা আটকে পড়েছিল। নীচের তলায় ছিল একটা হাসপাতাল। মানে লোকেরা আটকে পড়েছিল। তখন হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল।'






















