India-China Relations: অরুণাচলের মহিলাকে হেনস্থা, চিনকে সতর্ক করল ভারত, 'পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়ায় একেবারেই সাহায্য করবে না'
Randhir Jaiswal : তাঁর কথায়, "আমরা বলতে চাই যে অরুণাচল ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি একটি স্বতঃসিদ্ধ সত্য। চিনা পক্ষ যতই অস্বীকার করুক না কেন, এই অবিসংবাদিত বাস্তবতার পরিবর্তন হবে না।"

নয়াদিল্লি : সাংহাই বিমানবন্দরে অরুণাচলপ্রদেশের মহিলাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া প্রতিক্রিয়া জারি করল ভারত। যে কোনও ধরনের "অনিয়ন্ত্রিত কাজ" নিয়ে চিনকে সতর্ক করে দেওয়া হল। সঙ্গে এও বলা হয় যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা "একেবারে সাহায্য করবে না।" নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারত "জোরালো প্রতিবাদ" জানিয়েছে এবং দিল্লি ও বেজিং উভয় জায়গাতেই চিনের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছে।জয়সওয়াল জোর দিয়ে বলেন যে, ভারত ও চিনের মধ্যে "স্বাভাবিক সম্পর্কের" জন্য সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একটি "পূর্বশর্ত।" তাঁর কথায়, "আমরা বলতে চাই যে অরুণাচল ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি একটি স্বতঃসিদ্ধ সত্য। চিনা পক্ষ যতই অস্বীকার করুক না কেন, এই অবিসংবাদিত বাস্তবতার পরিবর্তন হবে না।" যদিও সাংহাই বিমানবন্দরে অপেক্ষার সময় অরুণাচলের কোনও মহিলাকে হেনস্থা করা হয়েছে, একথা অস্বীকার করছে চিন। এমনকী তাদের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনাকে ব্যবহার করে অরুণচলপ্রদেশ প্রসঙ্গে তাদের মন্তব্যও অস্বীকার করে।
ঘটনার বিস্তার...
পেমা ওয়াংজম থংডক। পশ্চিম কামেং জেলার রূপার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন। নভেম্বরের ২১ তারিখে তিনি লন্ডন থেকে জাপান যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তাঁর তিন ঘণ্টার বিরতি "দীর্ঘ এবং যন্ত্রণাদায়ক মোকাবিলায় পরিণত হয়।" কারণ কী ? অভিযোগ, চিনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট অবৈধ বলে ঘোষণা করে তাঁর জাপান-যাত্রা দেরি করে দেয়। থংডক বলেন, "আমি সাংহাই এবং বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে ফোন করি এবং এক ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে এসে আমাকে কিছু খাবার এনে দেন এবং তাঁদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে কথা বলেন এবং আমাকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেন। দীর্ঘ অগ্নিপরীক্ষা ছিল এটা, ১৮ ঘণ্টার, কিন্তু আমি খুশি যে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি।"
পরে এই ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন পেমা ওয়াংজম থংডক। অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকদেরও জানান।
এই ঘটনাকে তিনি "ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অরুণাচলপ্রদেশের মানুষের" প্রতি সরাসরি অপমান বলে উল্লেখ করেন।
চিনা অভিবাসন কর্তৃপক্ষের তীব্র নিন্দা করেন অরুণাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। অরুণাচলের এক মহিলার সঙ্গে যা হয়েছে তাকে তিনি 'অগ্রহণযোগ্য' এবং 'ভয়াবহ' বলে বর্ণনা করেন।























