Amar Jawan Jyoti: নিভল অমর জওয়ান জ্যোতি, মিলিয়ে দেওয়া হল ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের অগ্নিশিখায়
Amar Jawan Jyoti: পূর্ণ সামরিক রীতিতে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হল। সেনার আধিকারিক ও জওয়ানরা প্রথমে অমর জওয়ান জ্যোতিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নয়াদিল্লি: ৫০ বছর পর নিভল ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতির(Amar Jawan Jyoti) অগ্নিশিখা। সরিয়ে দেওয়া হল দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) অমর জওয়ান জ্যোতি। স্থানান্তর করে মিলিয়ে দেওয়া হল ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের (National War Memorial) শিখার সঙ্গে।পূর্ণ সামরিক রীতিতে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হল। সেনার আধিকারিক ও জওয়ানরা প্রথমে অমর জওয়ান জ্যোতিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মশাল ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে নিয়ে আসা হয়।
দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যেই আজ সকালে বিবৃতি জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানানো হয়, অগ্নিশিখা না নিভিয়ে তা সরিয়ে দেওয়া হবে। ১৯৭১-এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের স্মৃতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অমর জওয়ান জ্যোতি স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন। সমালোচনায় সরব হন রাহুল গান্ধী। গোটা বিষয়টিকে দুঃখজনক হিসেবে চিহ্নিত করে রাহুলের অভিযোগ, কিছু মানুষ দেশাত্মবোধ ও আত্মত্যাগের মানে বোঝেন না। সেনাকে সম্মান জানাতেই সিদ্ধান্ত, ট্যুইট বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ১৯১৪ থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে নিহত সেনার সম্মানে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ইন্ডিয়া গেট তৈরি করে। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান (1971 Indo-Pak War) যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে ১৯৭২ সালে রাজধানীর বুকে, ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) পাদদেশে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’ শিখার প্রতিষ্ঠা হয়। উল্টো করে বসানো রাইফেলের মাথায় সেনাবাহিনী পরিহিত হেলমেট বসানো হয় একটি স্তম্ভের উপর। তার পাশে রাখা হয় আগুনের শিখা। সেই থেকে বিগত ৫০ বছর ধরে ওই শিখা বহ্নিমান, সচক্ষে যা দেখতে ভিড় করেন দেশ-বিদেশের মানুষ।
কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, সম্প্রতি ওই শিখা ইন্ডিয়া গেট থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়, ২০১৯ সালে নির্মিত জাতীয় যুদ্ধ স্মারকেও অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত। আবার ইন্ডিয়া গেটেও। দু’টি শিখাকে প্রজ্জ্বলিত রাখার খরচ দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই ইন্ডিয়া গেটের ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’র অগ্নিশিখাকে মিলিয়ে দেওয়া হবে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকের সঙ্গে।