Bihar: সন্তানের দেহ পেতে ৫০ হাজার! রাস্তায় ঘুরে সাহায্য চাইছেন দম্পতি
Bihar News: ঘুরে বেরাচ্ছেন রাস্তায়। সম্বল একটা গামছা। সেটা পেতেই কখনও গৃহস্থ, আবার কখনও পথচারীর কাছ থেকে সাহায্য চাইছেন।
নয়াদিল্লি: সন্তানের দেহ রয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু তার কাছে যেতে পারছেন না বাবা-মা। তাঁরা তখন ঘুরে বেরাচ্ছেন রাস্তায়। সম্বল একটা গামছা। সেটা পেতেই কখনও গৃহস্থ, আবার কখনও পথচারীর কাছ থেকে সাহায্য চাইছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে বিহারের (Bihar) সমস্তিপুরে। কেন এমন ঘটনা?
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই দম্পতির ছেলে মারা গিয়েছেন। কিন্তু শেষকৃত্যের জন্য ছেলের দেহ হাতে পাননি তাঁরা। এমনকী দেখতেও পারেননি। কারণ টাকা দিতে পারেননি। অভিযোগ, ছেলের দেহ ছাড়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ (Bribe) চাওয়া হয়েছে ওই দম্পতির (Couple) কাছে। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল নয়, এমন অভিযোগ উঠেছে খোদ বিহারের সমস্তিপুরের সরকারি হাসপাতালে। ওই দম্পতির ভিক্ষা করার ভিডিও ভাইরাল (Viral) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা দেখেই টুইটারে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
ঠিক কী হয়েছিল?
ওই দম্পতির ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে নিরুদ্দেশ ছিলেন। বেশ কয়েকদিন পরে তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। সেখানে বলা হয়, তাঁদের ছেলে মারা গিয়েছেন। সমস্তিপুরের সদর হাসপাতালে তাঁর দেহ রাখা রয়েছে। তা শুনেই সেখানে পৌঁছন তাঁরা। কিন্তু লাভ হয়নি। কারণ সেখানেই পৌঁছতে হাসপাতালের এক কর্মী তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে ওই দম্পতি। টাকা না দিলে সন্তানের দেহ (Deadbody) দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয় ওই দরিদ্র দম্পতিকে। নিজেদের কাছে অত টাকা না থাকায়, শেষ পর্যন্ত সন্তানের দেহ হাতে পেতে দোরে দোরে ঘুরে টাকা জোগানের চেষ্টায় তাঁরা।
Samastipur, Bihar | Parents of a youth beg to collect money to get the mortal remains of their son released from Sadar Hospital after a hospital employee allegedly asked for Rs 50,000 to release the body pic.twitter.com/rezk7p6FyG
— ANI (@ANI) June 8, 2022
পরিবার জানাচ্ছে:
সংবাদসংস্থা এএনআই (ANI) সূত্রে খবর, ওই ছেলেটির বাবা মহেশ ঠাকুর বলেন, 'কিছুদিন আগে আমার ছেলে হারিয়ে যায়। পরে আমরা একটি ফোন পাই, সেখানে বলা হয় আমার ছেলের দেহ সদর হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে গেলে হাসপাতালের এক কর্মী ৫০ হাজার টাকায় চায়। আমরা গরিব মানুষ। এত টাকা কোথায় পাব?'
দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরকম অভিযোগ নতুন নয় বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে সরকারি হাসপাতালের একাধিক চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বিরুদ্ধে এভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি, একটি ঘটনায় বিহারের রুরাল ওয়ার্ক দফতরে দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তাদের গ্রেফতার করে ভিজিল্যান্স টিম।
আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার নামে এফআইআর দিল্লি পুলিশের, আর কার কার নাম?