Centre on Free Tourist Visa: প্রথম পাঁচ লক্ষ বিদেশি পর্যটককে বিনামূল্যে ভিসা, পর্যটন ব্যবসার পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী কেন্দ্র
পর্যটন সংস্থা থেকে ট্যুরিস্ট গাইডডের আর্থিক সহায়তা করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ
নয়াদিল্লি: করোনাকালে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে দেশের পর্যটন ব্যবসা। এই প্রেক্ষিতে এই শিল্পের পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন পর্যটন ক্ষেত্রে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি জানান, প্রথম পাঁচ লক্ষ বিদেশি পর্যটককে একেবারে বিনামূল্যে ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, দেশের প্রায় ১১ হাজার নথিভুক্ত ট্যুরিস্ট গাইড ও এই ক্ষেত্রের অংশীদারদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিন, করোনাকালে বেশ কিছু আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। সেই অন্তর্গত, কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত্রগুলিকর জন্য কিছু আর্থিক সহায়তার কথা জানান তিনি।
এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, করোনা-উত্তর কালে পর্যটন ব্যবসাকে পুনরায় শুরু করা এবং আর্থিক বোঝা লাঘব করার জন্য এই খাতে কেন্দ্রের ঋণ প্রকল্পের আওতায় মূলধন বা ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়া হবে।
এই প্রকল্পের ফলে, পর্যটন মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারের কাছে নথিভুক্ত থাকা প্রায় ১০ হাজার ৭০০ গাইডকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
সীতারমণ জানান, ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি সহ ঋণ প্রদান করা হবে। এর জন্য এজেন্সি প্রতি সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে প্রত্যেক নথিভুক্ত ট্যুরিস্ট গাইডডের জন্য।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এর জন্য কোনও প্রসেসিং ফি, প্রিপেমেন্ট চার্জ বা জামানতের প্রয়োজন হবে না। গোটা প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে থাকবে পর্যটন মন্ত্রক।
সীতারমণ জানান, আন্তর্জাতিক যাত্রা পুনরায় শুরু হলে তখন ভারতে আসা প্রথম পাঁচ লক্ষ বিদেশি পর্যটকের থেকে কোনওপ্রকার ভিসা চার্জ নেওয়া হবে না। একজন ট্যুরিস্ট একবারই এই সুবিধা পেতে পারেন।
অর্থমন্ত্রীর মতে, আগামী ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই প্রকল্প কার্যকর থাকবে অথবা ৫ লক্ষের কোটা পূরণ হওয়া পর্যন্ত-- যেটা আগে হবে।
২০১৯ সালে প্রায় ১.০৯ কোটি বিদেশি পর্যটক ভারতে এসেছিলেন। এখানে এসে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার(ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা) ব্যবসা ও প্রমোদে খরচ করেছিলেন।
একজন বিদেশি পর্যটক ভারতে ২১ দিনের মতো থাকেন। প্রতিদিন গড়ে ৩৪ মার্কিন ডলার খরচ করেন।