Corona Vaccine Update: রাজ্যে পৌঁছল ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড, আজই আসছে ২ লক্ষ কোভ্যাকসিনও
একদিনের মধ্যেই এই ভ্যাকসিনগুলি সারা রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হতে পারে।
আবীর দত্ত, কলকাতা: করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বস্তির খবর ৷ আজ, বুধবার ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড (Covishield) এসে পৌঁছলো রাজ্যে। পাশাপাশি আজ রাতেই আরও ২ লক্ষ কোভ্যাকসিন (covaxin)-ও এ রাজ্যে এসে পৌঁছচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর ভ্যাকসিনগুলি (Vaccine) কন্টেনারে করে পুলিশি নিরাপত্তার সাহায্যে বাগবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একদিনের মধ্যেই এই ভ্যাকসিনগুলি সারা রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হতে পারে।
রাজ্যে চলছে ভোট উৎসব। করোনা আবহে রাজনৈতিক দলগুলির হাজার হাজার ভিড়। আর এরই মধ্যে গোটা দেশের মতোই রাজ্যেও ভয়ঙ্কর করোনা। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভ্যাকসিনের আকাল। বহু ভ্যাকসিনেশন সেন্টারেই মজুত নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন।
গত শনিবার থেকেই কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে লাগানো হয়েছে ‘নো ভ্যাকসিন’ নোটিস। সোমবারও বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের ভাঁড়ার ছিল শূন্য। একদিকে লাগামছাড়া করোনা, অন্যদিকে ভ্যাকসিনের আকালের ভ্রুকুটি...এরইমধ্যে সামান্য হলেও স্বস্তি দিয়ে সোমবারই পুণে থেকে রাজ্যে এসে পৌঁছেছিল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ৪ লক্ষ ডোজ। আজ, বুধবার পৌঁছল আরও ৩ লক্ষ ৷
এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি করোনা উৎসব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। পাল্টা করোনা সঙ্কট নিয়ে আরও একবার মোদি সরকারকে সতর্ক করেছেন রাহুল গাঁধী।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিনের মধ্যে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা মনে করিয়ে দিয়ে, কটাক্ষের সুরে রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন,৩৮৫ দিনেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা হয়নি। উৎসব, থালা বাজানো, অনেক হয়েছে, এবার দেশকে ভ্যাকসিন দিন। আপনি ঘণ্টা বাজাতে বলেছেন, থালা বাজাতে বলেছেন, মোবাইল ফোনের চর্ট জ্বালাতে বলেছিলেন। করোনা কিন্তু বেড়েই চলেছে। এখন ইভেন্টবাজি বন্ধ করুন। যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের সকলকে ভ্যাকসিন দিন। বিদেশে ভ্যাকসিন পাঠানো বন্ধ করুন। গরীবদের আর্থিক সাহায্য দিন।
উল্টো দিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আবার ভ্যাকসিনের অভাবের অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের যোগান দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সারা বিশ্বে দৈনিক ভিত্তিতে গড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার নিরিখে ভারত সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে।