Covaxin For Child : শিশুদের মধ্যে কোভ্যাক্সিন কেমন কাজ করবে? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
Covaxin For Child : ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার জন্য, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে Drugs Controller General of India।
নয়াদিল্লি: ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার ভ্যাসকিন দেওয়ার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ যখন ক্রমশ বাড়ছে, তখন বড়দিনে এসেছে স্বস্তির খবর।
যাকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার জন্য, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে Drugs Controller General of India। তার আগেই অবশ্য ১২ বছর ঊর্ধ্বদের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকভ-ডি কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র।
এই পরিস্থিতিতে যেসব অভিভাবকরা সন্তানদের টিকা দেওয়াবেন কি না, তাই নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন, তাঁদের আশ্বস্ত করছিন চিকিৎসকরা। ভারতের কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিজিআই) এর চেয়ারম্যান ডঃ এন কে অরোরা রবিবার বলেছেন, পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যে কোভ্যাক্সিন ভাল প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। নতুন বছরের গোড়াতেই দেশে শুরু হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার ভ্যাকসিনেশন। এই বিষয়ে আশাজনক বার্তাই দিয়েছেন ডা. অরোরা। তিনি বলেন, , "১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা, বিশেষ করে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা অনেকটাই প্রাপ্তবয়স্কদের মতো ৷ তাছাড়া, সমাক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে ১৮ বছরের নিচে যাঁদের কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে, তাদের ২/৩ ই এই বয়সী। "
ডাঃ অরোরা বলেন, "কিশোরদের টিকা দেওয়ায় আরও দুটি সুবিধা রয়েছে। এই বয়সীরা বিভিন্ন কারণে ঘুরে বেড়ায়। তাদের স্কুল-কলেজে যেতে হয় এবং তাদের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে ওমিক্রন পরিপ্রেক্ষিতে তো বটেই।"
আরও পড়ুন :
অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু বৃদ্ধের, কী ভাবছে দেশ
১২ বছর ঊর্ধ্বদের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকভ-ডি কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে বর্তমান করোনার ভ্যাকসিনের থেকে এটি দেওয়ার পদ্ধতি কিছুটা আলাদা।
সূত্রের খবর,
- এটি নিডল লেস, অর্থাত্ এই ভ্যাকসিন দিতে সূঁচের কোনও ব্যবহার হবে না।
- জেট অ্যাপ্লিকেটরের সাহায্যে চামড়া ভেদ করে তা ঢুকিয়ে দেওয়া হবে শরীরে।
- ২৮ দিনের ব্যবধানে মোট তিনটি ভ্যাকসিনের ডোজ নিতে হবে।
- এক একটি ডোজে 0.1 ml করে দুই হাতে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এর আগে জাতীয় সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল, ১৮ বছরের নীচে যাঁদের বয়স, তাঁদের একটা বড় অংশের শরীরেই করোনার অ্যান্টিবডি মিলেছে। তবে এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই মত চিকিত্সকদের।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )