Kejriwal on Coronavirus: ৬৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তের বয়স ৪৫-এর নীচে, দিল্লি নিয়ে চিন্তায় কেজরিওয়াল
Delhi Coronavirus Update: দিল্লিতে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা চিত্র। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৫০০ জন। একদিনে আক্রান্তের হিসাবে যা সবথেকে বেশি। নভেম্বরে রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৮৫০০জন একদিনে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। খোদ এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
নিত্যদিন রাজধানীর বুকে রেকর্ড গড়ছে করোনা। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে এবার যুব প্রজন্মকে সাবধান করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরিসংখ্যান তুলে দেখালেন রাজধানীর 'হাল হকিকত'।
দিল্লিতে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা চিত্র। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৫০০ জন। একদিনে আক্রান্তের হিসাবে যা সবথেকে বেশি। নভেম্বরে রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৮৫০০জন একদিনে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। খোদ এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মঙ্গলবার দিল্লির করোনা পরিস্থিতির নিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ''করোনার নতুন ঢেউ খুবই মারাত্মক। গত ১০-১৫ দিনের তথ্য বলছে,সংক্রমিতদের ৬৫ শতাংশের বয়স ৪৫-এর নীচে। তাই অনুগ্রহ করে খুব প্রয়োজন ছাড়া যুব প্রজন্মকে বাড়ির বাইরে যেতে না করছি।তোমাদের স্বাস্থ্য আমাদের কাছে খুবই গরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই কোভিড প্রটোকল মেনে চলুন।''
দিল্লির করোনা বুলেটিন বলছে, সোমবার রাজ্যে কোভিড পটিটিভের সংখ্যা ছিল ১১,৪৯১ জন।দিল্লিতে করোনা নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭২ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন করে কিছু হাসপাতালকে পূর্ণ রূপে কোভিড হসপিটালে বদলে ফেলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪টি প্রাইভেট
হসপিটালও রয়েছে। স্যার গঙ্গারাম হসপিটাল, সেন্ট স্টিফেন্স হসপিটাল, তিস হাজারি হসপিটালকেও পূর্ণ কোভিড হাসাপাতাল হিসাবে ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার। এবার থেকে কোভিড রোগী ছাড়া সার্জিক্যাল ও মেডিক্যাল কোনও রোগী সেখানে ভর্তি হতে পারবেন না।
রাজধানীতে ক্রমাগত করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেগতিক দেখে আগেই নাইট কার্ফু ঘোষণা করে কেজরিওয়ালের সরকার। গত ৬ এপ্রিল থেকে দিল্লিতে এই 'নাইট কার্ফু' ঘোষণা হয়েছে। চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু চলাকালীন কেউ বাড়ির বাইরে আসতে পারবেন না।
দেশের সাম্প্রতিক করোনা চিত্র অনুযায়ী, সবথেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের।সেখানে পূর্ণ লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।যদিও কদিন আগেই কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এখনই লকডাউনের কথা ভাবছেন না তিনি। কারণ তাঁর মনে হয়েছে, করোনা মোকাবিলায়
লকডাউন একমাত্র সমাধান নয়। সেজন্যই রাজ্যে 'নাইট কার্ফু'-এর পাশাপাশি 'উইকেন্ড লকডাউন'-এর দিকে ঝুঁকেছেন তিনি। এমনকী কোভিড পজিটিভ হলেই রোগীদের হাসপাতালমুখী হতে মানা করেছেন। তাঁর মতে, ইমারজেন্সি না হলে কারও হাসপাতালে আসা উচিত নয়। এতে সিরিয়াস পেসেন্টদের বেডের অভাব তৈরি হবে।