Delhi Court Firing: সমাধান-সূত্র সিসিটিভি ফুটেজ, দিল্লির আদালতে শ্যুটআউটের ঘটনায় গ্রেফতার ২
গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীকে পুলিশ ঘটনার দুদিন আগে গ্রেফতার করেছিল। শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আইনজীবীর পোশাকে এসে দুষ্কৃতীরা আচমকা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
নয়া দিল্লি : দিল্লির রোহিণী আদালতে শ্যুটআউটের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। ধৃতদের নাম উমঙ্গ ও বিনয়। উভয়েই উত্তর পশ্চিম দিল্লির হায়দারপুরের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, রোহিণী আদালতের ৪ নম্বর গেটের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনার দিনে উমঙ্গ আরও দুই শ্যুটারের সঙ্গে রোহিণীর সেক্টর ৯-এর একটি মলে পৌঁছয়। তারা আইনজীবীর পোশাক পরে ছিল। পরিকল্পনা মতো উমঙ্গ আদালতে পৌঁছে গাড়িতে অপেক্ষা করছিল। শ্যুটারদের কাজ শেষ করে সেই অপেক্ষারত গাড়িতে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু, পরিকল্পনামতো কাজ হয়নি। শ্যুটারদের খতম করা হয়। উমঙ্গ পালিয়ে যায়।
ঘটনা নিয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা জানিয়েছিলেন, গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীকে পুলিশ ঘটনার দুদিন আগে গ্রেফতার করেছিল। শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আইনজীবীর পোশাকে এসে দুষ্কৃতীরা আচমকা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জিতেন্দ্র গোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুষ্কৃতীদের জানা ছিল না যে, জিতেন্দ্র গোগীর সঙ্গে স্পেশ্যাল সেলের একটি দল ছিল। সেই দল তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে দুই দুষ্কৃতীকে খতম করে।
জিতেন্দ্র গোগী দিল্লির সবচেয়ে কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের মধ্যে অন্যতম ছিল। তাকে ধরতে পারলে চার লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। হরিয়ানা পুলিশ তাকে ধরতে আড়াই লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। দিল্লির নরেলা এলাকায় এক স্থানীয় নেতা বীরেন্দ্র মানকে হত্যায় জিতেন্দ্র ও তার গোষ্ঠীর হাত ছিল। জিতেন্দ্র গোগীর বিরুদ্ধে হরিয়ানার বিখ্যাত গায়িকা হর্ষিতা দাহিয়াকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
আদালতে পেশ করার জন্য গোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল। গুলিতে গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীর মৃত্যু হয় বলে খবর পুলিশ সূত্রে। আদালতে বিচারকের ১ মিটার দূরে চলে গুলি। ওই সময়ে বিচারক গগনদীপ সিংহের এজলাসে চলছিল শুনানি। পাল্টা পুলিশের গুলিতে ২ আততায়ীর মৃত্যু হয়। আদালতের রুম নম্বর ২০৭-এর মধ্যে এই গ্যাংওয়ার হয় বলে জানা যায়।