Delhi Pollution : কেন্দ্র ও এনসিআর রাজ্যের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দিতে বলল শীর্ষ আদালত
SC Tells Centre To Consider Work From Home For Employees : প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লির সংশ্লিষ্ট সচিবদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেছে
নয়া দিল্লি : দূষণের মোকাবিলায় কী করণীয় ? তা নির্ধারণ করতে রাজ্যগুলির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবারই বৈঠকে বসতে বলা হয়েছে যাতে করে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণকাজ, পরিবহণ বন্ধ রাখা যায়। এর পাশাপাশি রাজধানীতে বসবাসকারী কর্মীদের 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'- এর সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লির সংশ্লিষ্ট সচিবদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেছে।
দূষণ-প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত আজ আরও বলে, কৃষকদের নাড়া পোড়ানো নিয়ে যে শোরগোল পড়েছে তার সেরকম কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কারণ, নাড়া পোড়ানো রাজধানীতে দূষণের পিছনে ৪-১০ শতাংশ কারণ, এমনই খবর পিটিআই সূত্রের।
বরঞ্চ নির্মাণকাজ, শিল্প, পরিবহণ, পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং রাস্তার ট্র্যাফিক -এই কারণগুলিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই মর্মে কেন্দ্রকে বুধবার সকালের মধ্যে একটি অ্যাকশন প্ল্যান জমা করতে বলেছে আদালত। তখনই মামলার পুনরায় শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, বিপজ্জনক পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে দিল্লির Delhi) বাতাসে দূষণের পরিমাণ। বায়ু দূষণ রোধে প্রস্তুত দিল্লি, একথা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি সরকার (Delhi Government)। দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ নিকটবর্তী রাজ্যগুলিতেও লকডাউন (Lockdown) জারি করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা আরও সহজ হবে। সর্বোচ্চ আদালতে শুনানিতে জানায় দিল্লি সরকার। ব্যবস্থা নিতে আগামীকালের মধ্যে বৈঠকে বসুন, কেন্দ্রকে নির্দেশ আদালতের।
দূষণ রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে, এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল জানান, “মাঠে ফসলের অবশেষ অংশ পোড়ানোর জেরে দূষণের পরিমাণ সামান্য। ১০০ শতাংশ দূষণের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশই এর জন্য দায়ী।’’ আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন দিল্লি সরকার আদালতে জানায়, দিল্লির পাশাপাশি নয়ডা, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদের মতো জায়গায় লকডাউন করা উচিত। অন্যদিকে আদালতে সলিসিটর জেনারেল জানান, গত দুদিনে দূষণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জোড়-বিজোড় সংখ্যায় নিয়ন্ত্রণ করা হোক গাড়ি। পরামর্শ সলিসিটর জেনারেলের। জরুরি ভিত্তিতে গাড়িকেই দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হোক।