(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Dinesh Trivedi: 'থামাতে পদক্ষেপ নেননি চেয়ারম্যান', দীনেশের ইস্তফায় চিঠি ক্ষুব্ধ সুখেন্দুশেখরের
শুক্রবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নাটকীয়ভাবে তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ ত্রিবেদী
নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফায় চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দিলেন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়। চিঠিতে উল্লেখ, তৃণমূলের পক্ষে বক্তার তালিকায় ছিলেন না দীনেশ ত্রিবেদী, সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও প্রায় চার মিনিট ধরে তিনি বক্তব্য পেশ করেন।
বাজেট আলোচনায় অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ, চেয়ারম্যান তা থামাতে পদক্ষেপ নেননি। নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভার অপব্যবহার করেছেন। অবিলম্বে এর তদন্ত হওয়া উচিত। রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে এই দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
গত শুক্রবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নাটকীয়ভাবে তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ ত্রিবেদী। তৃণমূলে দম বন্ধ হয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবারই নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে ট্যুইট করেছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। শুক্রবার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগের ঘোষণা করে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তুললেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
বিজেপি যখন বারবার বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হচ্ছে, তখন দীনেশ ত্রিবেদীর গলাতেও ছিল সেই একই সুর। বলেন, দমবন্ধ হয়ে আসছিল। কাজ করতে পারছিলাম না। অন্তরাত্মা আমায় বলল। হিংসা দেখেও চুপ করে থাকতে হয়েছে।
ইস্তফা ঘোষণা করেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে নাম না নিয়ে প্রশান্ত কিশোরকে আক্রমণ! কিছুই বাদ দেননি একদা দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রধান মুখ দীনেশ। বলেন, যখন এত ভায়োলেন্স, কোরাপশন হয়, কোথায় কথা বলব। কারও কাছে সময় নেই। পার্টি যখন কর্পোরেট প্রফেশনালের হাতে চলে যায়, তারাই পার্টি চালায়, কার সঙ্গে কথা বলব। যারা রাজনীতির অ আ ক খ বোঝে না তারা নেতা হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ কী করবে।