Indian Nursing Council: 'কুৎসিত দেখতে মেয়েকেও পার করে দেওয়া যায়', পাঠ্যবইয়ে পণপ্রথার সুফল ব্যাখ্যা, সাফাই দিল আইএনসি
Indian Nursing Council: টিকে ইন্দ্রাণীর লেখে নার্সিং কোর্সের সমাজবিজ্ঞান বইয়ে ‘পণপ্রথার সুফল’ শীর্ষক অধ্যায়ের কিছু অংশ সম্প্রতি নেটমাধ্যমে উঠে আসে।
নয়াদিল্লি: সমাজবিজ্ঞানের বইয়ে পণপ্রথার সুফল ব্যাখ্যা (Merits of Dowry)! তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে সাফাই দিল ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল (Indian Nursing Council/INC)।তাদের দাবি, বিভিন্ন নার্সিং প্রোগ্রামের (Nursing Programme) জন্য পাঠ্যসূচি ঠিক করে দেয় তারা। তাদের ওয়েবসাইটেও সেগুলি রয়েছে। কিন্তু নিজেদের নিম্নমানের লেখা তুলে ধরতে কেউ যদি আইএনসি-র নাম ব্যবহার করে থাকে, তার তীব্র নিন্দা করছে ওই সংগঠন।
বিতর্কের মুখে পড়ে বিবৃতি প্রকাশ আইএনসি-র
সোমবার সকালে আইএনসি-র এই লিখিত বিবৃতি সামনে এনেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। তাতে সংগঠনের তরফে বলা হয়, ‘নার্সিং কাউন্সিল এমন কোনও বিষয়বস্তুর প্রকাশনকে সমর্থন করে না, যা ভারতের আইনের পরিপন্থী।...কোনও লেখক বা প্রকাশনী সংস্থাকে নিদজেদের লেখা প্রকাশের জন্য আইএনসি-র নাম ব্যবহারের অনুমোদনও দেওয়া হয়নি।’
টিকে ইন্দ্রাণীর লেখে নার্সিং কোর্সের সমাজবিজ্ঞান বইয়ে ‘পণপ্রথার সুফল’ শীর্ষক অধ্যায়ের কিছু অংশ সম্প্রতি নেটমাধ্যমে উঠে আসে। তাতে নিম্নলিখিত লাইনগুলি চোখে পড়ে—
- নতুন সংসার পাতার পক্ষে সহায়ক পণ। পণবাবদ চেয়ার, বিছানা, টিভি, পাখা, রেফ্রিজারেটর, বাসন, জামা-কাপড় এমনকি গাড়ি দেওয়ার চল রয়েছে ভারতের বিভিন্ন অংশে।
- পৈতৃক সম্পত্তির উপর ভাগের অধিকার। পণ হিসেবে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ পান মেয়েরা।
- এতে মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ঘটে। কারণ পণপ্রথার বোঝা এড়াতে মেয়েদের পড়শোনা শেখাতে শুরু করেছেন বাবা-মায়েরা। কারণ মেয়েরা শিক্ষিত হলে, চাকুরিরতা হলে, পণের দাবি কম হয়। পণপ্রথার পরোক্ষ সুফল এটি।
- লোভনীয় পণ দিয়ে কুৎসিত দেখতে মেয়েকে ভাল দেখতে অথবা কুৎসিত দেখতে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যায়।
Indian Nursing Council has issued a notification on the viral image of a page from the Textbook of Sociology for Nurses by TK Indrani (Pic-2), listing the "merits and advantages" of the dowry system. pic.twitter.com/cS7YmG5sW9
— ANI (@ANI) April 5, 2022
পণপ্রথার সুফল ব্যাখ্যা পাঠ্যবইয়ে
ছেলের বাবা-মা কেন পণ নেন, তার ব্যাখা হিসেবে বলা হয়, ‘বরের বাবা-মায়ের পণ নেওয়ার কারণ হল, তাঁদের নিজের মেয়ের বিয়েতেও পণ দিতে হয়। তাই ছেলের বিয়েতে পণ নিয়ে মেয়ের জন্য বর খুঁজতে সুবিধা হয়।’
বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় নেটমাধ্যমে। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদি বিষয়টি নিয়ে সরব হন। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে এই ধরনের বই তুলে নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। পণপ্রথার সুফলের মতো বিষয় ছেপে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার পরই আইএনসি-র তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হল।
আরও পড়ুন: Uttarakhand News: 'ওঁকে প্রয়োজন দেশের', রাহুলের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি লিখে দিলেন পুষ্পা