Monkeypox Scare: সংক্রমিত দেখলেই আইসোলেট করুন, মাঙ্কিপক্সে কড়া নজরদারির নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
Health Ministry Directs Officials : এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। WHO বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষেত্রে মৃত্যুর অনুপাত প্রায় ৩-৬ শতাংশ।
নয়া দিল্লি : এবার দানা বাঁধছে মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক। আমেরিকার বিভিন্ন অংশে, ইউরোপ ও পশ্চিম আফ্রিকায় একাধিক কেস সামনে আসার পর, এনিয়ে এবার ভারতেও জারি হল সতর্কতা। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই মারণ ভাইরাস যাতে দেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিড কন্ট্রোল ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্র মনসুখ মাণ্ডব্য। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিমানবন্দর ও বন্দর আধিকারিকদেরও বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখতে বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক।
তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও অসুস্থ ব্যক্তি যিনি মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া দেশ থেকে আসছেন, তাঁকে আইসোলেট করে রাখতে হবে। নমুনা সংগ্রহ করে পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজির BSL4 ফেসিলিটেতে পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন ; ধরা পড়ল আমেরিকাতেও, প্রকোপ কানাডা, ইউরোপেও, মাঙ্কিপক্স কী জেনে নিন
কী এই মাঙ্কিপক্স ?
মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের মতোই একটি বিরল ভাইরাল রোগ। তবে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি মৃদু রূপ। মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয়। এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। WHO বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষেত্রে মৃত্যুর অনুপাত প্রায় ৩-৬ শতাংশ।
মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ-
জ্বর, গায়ে ব্যথা, আকারে বড় বসন্তের মতো গায়ে গুটি গজিয়ে ওঠাকে আপাতত মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফোস্কার মতো দেখতে যন্ত্রণাদায়ক গুটি হাতে, পায়ে এবং মুখে গজিয়ে উঠতে দেখলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে। মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতটাই ভয়ঙ্কর যে, আক্রান্তদের ১০ শতাংশ তাতে মারাও যেতে পারেন।
বর্তমানে ব্রিটেনে যে রূপ পাওয়া গিয়েছে, সেটি ততটা ক্ষতিকর নয়। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে সারতে সময় লাগে দুই থেকে চার সপ্তাহ।
টিকা এসেছে ২০১৯-এই
২০১৯ সালে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধী প্রথম টিকায় অনুমোদন দেয় আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ওই টিকা স্মলপক্স প্রতিরোধেও সহায়ক। তবে হনুমান বা বাঁদর থেকেই মাঙ্কিপক্স ছড়ায়, এমন ভেবে নেওয়া ভুল। ১৯৫৮ সালে দু’বার মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ দেখা দেয়। সেই সময় গবেষণায় দেখা যায়, হনুমান বা বাঁদরের মধ্যে মাঙ্কিপক্স যতটা না দেখা যায়, কাঠবিড়ালি, ইঁদুর-সহ তীক্ষ্ণ দাঁতের পশুর থেকেই বেশি ছড়ায় মাঙ্কিপক্স। পশুর কামড়, আঁচড় এমনকি তাদের সংস্পর্শে এলেও হতে পারে সংক্রমণ।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )