CBI: কেন্দ্রীয় আধিকারিক পরিচয়ে একাধিক প্রতারণা, সিবিআইয়ের দ্বারস্থ প্রধানমন্ত্রীর দফতর
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে গত ১০ দিনে অভিযোগ জানিয়ে তাদের দিল্লির সদর দফতরে ৩টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নয়াদিল্লি: প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে এবার সিবিআইয়ের (CBI) দ্বারস্থ প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। সূত্রের খবর, অভিযোগে বলা হয়েছে, দিল্লি-সহ (Delhi) দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিক পরিচয়ে দফতরের যে কোনওরকম কাজ করে দেওয়া, সরকারি টেন্ডার, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি অথবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছ থেকে যে কোনওরকম সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (PMO) তরফে গত ১০ দিনে অভিযোগ জানিয়ে তাদের দিল্লির সদর দফতরে ৩টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর ভিত্তিতে ৩টি আলাদা এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। খবর সূত্রের। কারা দেশজুড়ে এই চক্র চালাচ্ছে, তার সন্ধান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: Coochbehar: প্রবল বৃষ্টিতে কোচবিহারের নদীতে ভাঙন, নদীগর্ভে বাড়িঘর, কৃষিজমি
সম্প্রতি একাধিক অভিযোগ উঠেছে এ নিয়ে। ইতিমধ্যেই অগ্নিপথ (Agnipath) বিরোধিতার মাঝেই ৩৫টি হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র (Center)। অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিহারে (Bihar) বিক্ষোভ সংগঠিত করার অভিযোগ কেন্দ্রের। সেই ভিত্তিতেই এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানান হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানো এবং হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজও চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এই অগ্নিপথ প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করার জন্য একটি ফ্যাক্ট চেক অপশনও দিয়েছে।
তবে শুধু কেন্দ্রীয় স্তরে নয়, রাজ্যেও ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ সামনে এসেছে প্রতারণার। কখনও সরকারি আধিকারিকের নাম নিয়ে তো কখনও আবার মন্ত্রীদের নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে খাস কলকাতাতেই।
ক্যুরিয়র সংস্থার নামে প্রতারণা: কিছুদিন আগে ক্যুরিয়র সংস্থার (Courier Company ) নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। প্রতারকদের (Fraud) পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করার পরই গায়েব হয়ে যায় ২৫ হাজার টাকা। লালবাজার (Laalbazar) সাইবার ক্রাইমে (Cyber Crime) অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর।
লিঙ্কে ক্লিক করতেই গায়েব টাকা: ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীর। ইন্টারনেটে ক্যুরিয়র সংস্থার নম্বর দেখে ফোন করেই বিপত্তি। অভিযোগ, প্রতারকদের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করতেই ধাপে ধাপে গায়েব ২৫ হাজারের বেশি টাকা। প্রতারণার শিকার হয়েছেন এন্টালির বাসিন্দা মহম্মদ নিসার। জোড়াসাঁকোয় তাঁর ফলের ব্যবসা রয়েছে।
সম্প্রতি তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। গোলমালের সূত্রপাত এর পরেই। ব্যবসায়ীর দাবি, ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয়, ক্রেডিট কার্ড ক্যুরিয়র করে দেওয়া হয়েছে। ক্যুরিয়র সংস্থার ট্র্যাকিং আইডি দেওয়া হয়। এরপর নেট-এ সার্চ করে ক্যুরিয়র সংস্থার নম্বরে ফোন করতেই বিপত্তি।