Mumbai Attack Alert: মুম্বইয়ে ট্রেনে গ্যাস অ্যাটাক বা যাত্রীদের ওপর হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা, জারি সতর্কবার্তা
দিল্লি পুলিশের পদক্ষেপের পর জিআরপি মুম্বইয়ের সমস্ত বড় রেল স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং কয়েকটি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মুম্বই: সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ৬ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন মুম্বইয়ের ধারাভি এলাকায় বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল সূত্রে খবর, গ্রেফতার সন্দেহভাজন জঙ্গিরা লোকাল ট্রেন সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার ছক কষেছিল। সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে যে, রেলওয়ে পুলিশ অর্থাৎ জিআরপি গোয়েন্দা এজেন্সি থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার ব্যাপারে তথ্য পেয়েছিল।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জিআরপিকে জানিয়েছে যে, জঙ্গিরা ট্রেনে গ্যাস আক্রমণ বা প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ভিড়ে হানা দিতে পারে। সূত্রের খবর, জঙ্গিদের জেরা করে দিল্লি পুলিশের প্রাপ্ত তথ্য সহ জিআরপির কাছে এ ধরনের সতর্কবার্তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এসেছিল। এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, আমাদের কাছে সময়ে সময়ে এ ধরনের সতর্কবার্তা আসে। বিশেষ করে লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটি সতর্কবার্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি এবং যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
দিল্লি পুলিশের পদক্ষেপের পর জিআরপি মুম্বইয়ের সমস্ত বড় রেল স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং কয়েকটি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জিআরপি লাইভ মকড্রিলও শুরু করে দিয়েছে। এতে জঙ্গি হামলার সময় যাত্রীদের কীভাবে রক্ষা করা যায় ও জঙ্গিদের ধরা যায়, সে ব্যাপারে শিখতে পারেন সুরক্ষা আধিকারিকরা। জিআরপি অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী বড় স্টেশনগুলিতে মোতায়েন করেছে এবং জিআরপি ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড সব অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে। এছাড়াও ডগ স্কোয়াডের টহলদারিরও ব্যবস্থা হয়েছে, যাতে জরুরিকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। যেখানে কোনও গাড়ি প্ল্যাটফর্মে যেতে পারে সেখানে জিআরপি বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেডস ও স্পিড ব্রেকারও বসিয়েছে।
এছাড়াও জিআরপি প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকাগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখছে। রেলওয়ে পুলিশ পার্সেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও নজর দিচ্ছে এবং নজরদারি চালাচ্ছে। জিআরপি আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, সমগ্র রেলওয়েতে (মধ্য ও পশ্চিম) মোট ৬ থেকে ৭ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। জিআরপি আরও ক্যামেরা বসাতে চায়, যাতে বাকি এলাকাগুলিও নজরজারির আওতায় আসে।