Silchar Airport: কোভিড পরীক্ষা না করেই ৩০০-র বেশি যাত্রী বাইরে বেরিয়ে গেলেন শিলচর বিমানবন্দরে !
অসমের শিলচর বিমানবন্দরে নামা ৩০০-র বেশি যাত্রী বুধবার তাঁদের কোভিড রিপোর্ট না দেখিয়ে এবং বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষা না করিয়েই বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরিয়ে যান ৷
শিলচর: দেশে এখন করোনা ঝড় ৷ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে ৷ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও ৷ এই অবস্থায় বিমান যাত্রাতেও গত বছরের আতঙ্ক যেন ফিরে এসেছে ৷ খুব প্রয়োজন ছাড়া এখন ট্রাভেল না করারই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ কিন্তু এর মধ্যেও যারা যাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র থাকাটা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে ৷
দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরেই বিমানে চড়ার আগে আরটিপিসিআর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট যাত্রীদের দেখানোটা বাধ্যতামূলক ৷ অনেক বিমানবন্দরে আবার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷ কিন্তু এর মধ্যেই ঘটে গেল এক অদ্ভূত কাণ্ড ৷ অসমের শিলচর বিমানবন্দরে নামা ৩০০-র বেশি যাত্রী বুধবার তাঁদের কোভিড রিপোর্ট না দেখিয়েই বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরিয়ে যান ৷
#TravelUpdate#Unite2FightCorona @AAI_Official @aairedner https://t.co/OgvRszvjNt
— SILCHAR AIRPORT (@AAIIXSAirport) April 21, 2021
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কথায়, এমন কাজ মারাত্মক অপরাধের মধ্যেই পড়ে ৷ অসম সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জারি করা নতুন নিয়মে এখন সে রাজ্যের বিমানবন্দরে নামা সব যাত্রীদের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে না থাকলে তাঁদের Rapid Antigen Test (RAT) এবং RT-PCR পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ পরীক্ষা না করলে কোনও যাত্রীকেই বিমানবন্দরের বাইরে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হবে না ৷ গতকাল, বুধবার মোট ৬৯০ জন যাত্রী দেশের বিভিন্ন শহর থেকে এসে পৌঁছন শিলচর বিমানবন্দরে ৷ তাঁদের মধ্যে ৩০০-রও বেশি যাত্রী তাদের রিপোর্ট না দেখিয়ে বা পরীক্ষা না করিয়েই বাইরে বেরিয়ে যান ৷ শুধুমাত্র টেস্টের জন্য ৫০০ টাকা দিতে হবে, এর জন্যও অনেক যাত্রীই পরীক্ষা করাতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন শিলচর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৷
এদিকে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেশে এই প্রথমবার দৈনিক সংক্রমণ পেরিয়ে গেল ৩ লক্ষের বেশি। দেশের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন। করোনা-কালে যা বিশ্বে সর্বকালীন রেকর্ড।
একদিনে মৃত্যুতেও দেশে নতুন রেকর্ড। গত ২৪-ঘণ্টায় ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২,১০৪ জনের। এই নিয়ে পরপর দু’দিন দেশে দৈনিক ২ হাজারের বেশি মানুষ মারণ ভাইরাসের কবলে প্রাণ হারালেন।