(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Prashant Kishor Update: নিজে থেকে রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ প্রশান্তর! গুজরাতে বৈতরণী পার হবে কি কংগ্রেসের, তুঙ্গে জল্পনা
Prashant Kishor Update: মঙ্গলবারই গুজরাতের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল। নির্বাচনী কৌশল সংক্রান্ত আলোচনা সারেন। সেখানেও প্রশান্তর প্রস্তাবের কথা উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে।
নয়াদিল্লি: একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে থাকলেও, সুর-তাল মেলেনি। কংগ্রেসের সঙ্গে রসায়ন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একাধিক বার সে কথা তুলে ধরেছেন তিনি। কিন্তু ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) নিজের গরজই এ বার কংগ্রেসের হাত ধরতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেসের (Congress) একটি সূত্রের দাবি, গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজে থেকেই রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রশান্ত। গুজরাতে দলে নির্বাচনী (Gujarat Assembly Election 2022) প্রচারের কৌশল রচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এর আগেও একাধিক বার প্রশান্তর সঙ্গে কংগ্রেসের গাঁটছড়া বাঁধার কথা শোনা গিয়েছে। গেরুয়া দাপটের সামনে ধুঁকতে থাকা দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলেটিকে চাঙ্গা করতে কংগ্রেসে প্রশান্তকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলেও খবর সামনে এসেছে। কিন্তু সমঝোতায় সিলমোহর পড়ারআ গেই কোনও না কোনও ভাবে তা ভেস্তে গিয়েছে। যে কারণে গত দু’বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল রচনার সঙ্গে নিজেকে বেশি জড়িয়ে নিয়েছেন প্রশান্ত। অন্য দিকে, তাঁর প্রাক্তন এক সহযোগীর উপর ভরসা করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে।
পেশাদার সম্পর্কে আগ্রহী প্রশান্ত
কিন্তু কংগ্রেস তো লাভবান হয়ইনি, আবার আঞ্চলিক দলগুলিকে বেশি গরুত্ব দেওয়ায়, জাতীয় রাজনীতিতে প্রশান্তর প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন গেরুয়া নেতৃত্ব। এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়ছে, সেই সময় নিজে থেকেই কংগ্রেসের বৈতরণী পারে প্রশান্ত উদ্যোগী হলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কংগ্রেস সূত্রে খবর, দীর্ঘমেয়াদি নয়, গুজরাত নির্বাচন নিয়েই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রশান্ত। শুধুমাত্র পেশাদার সম্পর্কে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবারই গুজরাতের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল। নির্বাচনী কৌশল সংক্রান্ত আলোচনা সারেন। সেখানেও প্রশান্তর প্রস্তাবের কথা উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, গুজরাতের কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রশান্তর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় অত্যন্ত আগ্রহী। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুলই। যদিও এ নিয়ে প্রশান্তর তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর কংগ্রেসের প্রশান্তর যোগদানই প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একাধিক বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। তাই কংগ্রেসে যোগ দেওয়া তো দূর, প্রকাশ্যে রাহুলের সমালোচনা করতে দেখা যায় প্রশান্তকে। গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশ নির্বাচনই যেখানে হেরে বসে রয়েছে কংগ্রেস, সেখানে নেতৃত্ব বদল নিয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের সময় এসেছে বলে একাধিক বার মন্তব্য করেছন প্রশান্ত। এমনকি ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট গড়ে তোলা সম্ভব হবে না বলে ও মেনেছেন প্রশান্ত। কিন্তু বর্তমান নেতৃত্ব ২০২৪-এ কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিলে কোনও লাভ হবে না বলেও সাফ জানিয়েছেন তিনি।