নেটে ফেক নিউজ ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের
নেটমাধ্যম অপব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার যে অবদান, তা সরকার সম্মান করে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ভুয়ো খবর, হিংসা ছড়ানো হলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।‘
নয়াদিল্লি : নেটমাধ্যম অপব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার যে অবদান, তা সরকার সম্মান করে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ভুয়ো খবর, হিংসা ছড়ানো হলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।‘
এর আগে টুইটারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেছিলেন মন্ত্রী। তাঁর অনুপস্থিতিতে আলোচনা হয় মন্ত্রকের সচিব অজয় প্রকাশের সঙ্গে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু’পক্ষ ফের বৈঠকে বসতে পারে।
ইতিমধ্যে টুইটারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে, তাদের সংস্থার নিয়ম ভাঙায় ইতিমধ্যে ৫০০-র বেশি অ্যাকাউন্টকে চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে তারা। যদিও তাদের প্ল্যাটফর্মে কীভাবে কেউ ফেক তথ্য ছড়াতে পারে তা নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে টুইটার বয়কট করে ভারতে বানানো ‘কু’ সাইট ব্যবহারের ঢল উঠেছে। টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে ফোন নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলেই সেখানে ফেক-অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সহজ বলে অভিযোগ।
যদিও উঠেছে পাল্টা অভিযোগও। বিরোধীদের একাংশের দাবি টুইটারে যেভাবে দেশের কৃষক আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে, সেটা ভালোভাবে নেয়নি সরকার। যদিও সেই প্ল্যাটফর্মেই উঠেছিল সরকারের পক্ষে পাল্টা বার্তা। এর মাঝেই খলিস্তানি সমর্থক কিছু অ্যাকাউন্টের পক্ষ থেকে ‘ফার্মার্স জেনোসাইড’ তথা কৃষকদের হত্যা নামক হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করতে শুরু করে। যা নিয়ে বিতর্কের জল গড়ায় অনেকদূর। এর মাঝেই যে ঘটনার জন্য টুইটারকে সতর্ক করে কেন্দ্রীয় সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক বিরোধীরা বারবার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বর্তমান কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে ফেক নিউজ ছড়ানোর অভিযোগ করেন। যদিও ফেক নিউজ ও হিংসা রুখতে কড়া অবস্থানের বার্তা নিয়ে নিজেদের কড়া পদক্ষেপ বোঝানোর ইঙ্গিতই দিয়ে রাখল কেন্দ্র।