Vinayak Damodar Savarkar: 'মহাত্মার থেকে কোনও অংশে কম নন', স্বাধীনতার ৭৫ বছরে কেন্দ্রীয় পত্রিকায় সাভারকর-বন্দনা
75 years of Independence: সাভারকরকে নিয়ে তৈরি প্রচ্ছদের মুখবন্ধ লিখেছেন গাঁধী স্মৃতি ও দর্শন স্মৃতি মিউজিয়ামের ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল।
নয়াদিল্লি: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে অমৃত মহোৎসব পালনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাতে বিস্মৃত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাসে প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়ার কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু মহাত্মা গাঁধী (Mahatma Gandhi) স্মৃতিতে উৎসর্গ, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পত্রিকায় বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar) বন্দনা নিয়েই এ বার বিতর্কে তাঁর সরকার। শুধু সাভারকর বন্দনাই নয়, তিনি মহাত্মার চেয়ে কোনও অংশে কম ছিলেন না বলে দাবি করা হয়েছে ওই পত্রিকায়।
কেন্দ্রীয় পত্রিকায় সাভারকর বন্দনা
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনস্থ গাঁধী স্মৃতি ও দর্শন স্মৃতি মিউজিয়াম থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা 'অন্তিম জন'-এর সাম্প্রতিক প্রচ্ছদ জুড়ে রয়েছেন সাভারকর। তাঁকে নিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে পাতার পর পাতা। তাতেই মহাত্মার চেয়ে সাভারকর কোনও অংশে কম নন বলে লেখা হয়েছে। গাঁধী স্মৃতি ও দর্শন স্মৃতি মিউজিয়ামের চেয়ারম্যান খোদ প্রধানমন্ত্রী। তাতেই আরও জোর পেয়েছে বিতর্ক।
সাভারকরকে নিয়ে তৈরি প্রচ্ছদের মুখবন্ধ লিখেছেন গাঁধী স্মৃতি ও দর্শন স্মৃতি মিউজিয়ামের ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল। তাতে সাভারকরকে 'মহান দেশপ্রেমিক' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যাঁরা একদিনও জেল খাটেননি, সমাজের যাঁদের কোনও অবদান নেই, সাভারকরের মতো দেশপ্রেমিকের সমালোচনার দুঃসাহস দেখাতে পারেন তাঁরা। ভারতের ইতিহাস এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সাভারকরের স্থান এবং সম্মান মহাত্মা গাঁধীর থেকে কোনও অংশে কম নয়।'
গোয়েল আরও দাবি করেন যে, স্বাধীনতা সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য় অবদান সত্ত্বেও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বহু বছর যোগ্য সম্মান এবং স্থান পাননি সাভারকর।
সাভারকরকে নিয়ে তৈরি প্রচ্ছদ ঘিরে বিতর্কের মুখে পড়ে গাঁধী স্মৃতি ও দর্শন স্মৃতি মিউজিয়ামের আধিকারিকরা জানান, ২৮ মে সাভারকরের জন্মতিথি ছিল। সেই উপলক্ষেই সাভরকরকে সম্মান জানানো হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আগামী কয়েক মাসে আরও অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত গাঁধী স্মৃতি ও দর্শন স্মৃতির উদ্দেশ্য হল, মহাত্মা গাঁধীর জীবনদর্শন, তাঁর আদর্শকে সমাজের সামনে তুলে ধরা এবং শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতিতে তার রূপায়ণ। গাঁধীবাদী প্রাজ্ঞজন, সরকারের বিভিন্ন দফতরের মনোনীত আধিকারিকরাই মূলত এর কাজকর্ম পরিচালনার দায়িত্ব সামলান। সেখানে সাভারকর বন্দনা বেমানান বলে মনে করছেন অনেকেই।
মহাত্মার সঙ্গে সাভারকরের তুলনা
জুন মসে পত্রিকার যে প্রচ্ছদ তৈরি হয়েছে, তাতে সীতারামের আঁকা সাভারকরের একটি স্কেচ রয়েছে। ৬৮ পাতার পত্রিকার এক তৃতীয়াংশ জুড়ে হিন্দুত্ব নিয়ে প্রবন্ধ এবং নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। 'হিন্দুত্ব' নিয়ে সাভারকরের লেখা একটি প্রবন্ধও রয়েছে। সাভারকরের লেখা কোন কোন বই পড়া উচিত, তার তালিকাও দেওয়া রয়েছে পত্রিকায়।