রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ‘সবচেয়ে খারাপ সময়’ কেটেছে মনমোহন-রাজন জুটির আমলে: সীতারামন
সম্প্রতি, একটি আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রঘুরাম রাজন বলেছিলেন, প্রথম মোদি সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আর্থিক দুরবস্থার জন্য সরাসরি মনমোহন সিংহ ও রঘুরাম রাজনকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের ‘জুটি’-র সময়েই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি তাদের ‘সবচেয়ে খারাপ অধ্যায়’ কাটিয়েছে। মঙ্গলবার একটি আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ‘জীবনদান’ দেওয়া তাঁর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সম্প্রতি, একটি আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রঘুরাম রাজন বলেছিলেন, প্রথম মোদি সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কারণ, সরকারের চিন্তাভাবনা শুধুমাত্র তাদের ঘিরেই কেন্দ্রীভূত ছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এমন কোনও ধারাবাহিক স্পষ্ট নীতি বা পন্থা ছিল না, যার মাধ্যমে দেশের আর্থিক বিকাশের পথ সুগম হতে পারে। এর জবাবে এদিন সীতারামন বলেন, আমি রঘুরাম রাজনকে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবে সম্মান করি। তবে, তিনি এমন একটা সময়ে আরবিআইয়ের শীর্ষে বসেছিলেন, যে সময়ে ভারতীয় অর্থনীতি প্রসারিত হচ্ছিল। কিন্তু, এই রাজনের জমানাতেই পরবর্তীকালে শীর্ষ ব্যাঙ্কে ঋণ-সংক্রান্ত বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়। এটাই ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশের গতি স্লথ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। সীতারামনের দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে রাজনের আমলেই নেতাদের থেকে আসা ফোনকলের ভিত্তিতে ঋণ দেওয়া হয়েছে। আর সেই ধাক্কা সামলাতে আজও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সরকারি অর্থ জোগানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংহ। আমি নিশ্চিত, রাজন স্বীকার করবেন যে, মনমোহন সিংহের নিশ্চয় ধারাবাহিক স্পষ্ট নীতি ছিল। সীতারামন যোগ করেন, আমি এখানে কারও মজা ওড়াতে চাই না। কিন্তু, আমি এই (ধারাবাহিক স্পষ্ট নীতি) মন্তব্যটার ওপর জোর দেওয়ার জন্যই এই কথাটা বললাম। রাজন নিশ্চয় জানেন, তিনি কী বলেছেন। আমি ওনাকে যোগ্য সম্মান দিচ্ছি। তবে একইসঙ্গে যাবতীয় তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরছি। আর সত্যিটা এটাই যে, মনমোহন-রাজনের জুটির সময়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি তাদের সবচেয়ে খারাপ সময় কাটিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, সেই সময় আমরা কেউই এই সত্যিটা জানতে পারিনি।