এক্সপ্লোর
Advertisement
আন্টার্কটিকাতেও কোভিড, তবে ভারতীয়দের ভয়ের কারণ নেই
আন্টার্কটিকায় ভারতীয় রিসার্চ স্টেশনে কর্মরত বিজ্ঞানীরা অবশ্য এখনই করোনার ভয় পাচ্ছেন না। ভারতের যে দুটি স্থায়ী স্টেশন রয়েছে, সেই মৈত্রী আর ভারতী চিলি স্টেশন থেকে অন্তত ৫,০০০ কিলোমিটার দূরে।
সান্তিয়াগো: বিশ্বের দক্ষিণতম প্রান্তের তুষার সাম্রাজ্যেও থাবা বসিয়েছে করোনা। চিলির রিসার্চ স্টেশন যে ৩৬ জন আক্রান্তের কথা জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সম্ভবত আগেই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এঁরা সকলে ছিলেন আন্টার্কটিকার সব থেকে উত্তরের এলাকা জেনারেল বার্নার্দো ও হিগিন্স রিকোয়েলমি-তে। এর মুখোমুখি দক্ষিণ চিলি উপকূল।
আন্টার্কটিকায় মানুষ বাস করেন না। তবে ভারত সহ ৬০-টির মত দেশের এখানে স্থায়ী স্টেশন রয়েছে, বিজ্ঞানীরা সেগুলিতে গবেষণা চালান। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের উদ্ধার করে চিলি নিয়ে এসে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিলির রিসার্চ স্টেশনে অল্পদিন আগে একটি জাহাজ জিনিসপত্র সরবরাহ করতে আসে। সেটির নাবিকদের থেকে করোনা ছড়িয়েছে। এ মাসের শুরুতে জাহাজটি চিলি ফিরে যাওয়ার পর দেখা যায়, ৩ নাবিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মঙ্গলবার অবশ্য জানা গিয়েছে, ৩ জন নন, করোনা আক্রান্ত ওই জাহাজের ২১ জন।
আন্টার্কটিকায় ভারতীয় রিসার্চ স্টেশনে কর্মরত বিজ্ঞানীরা অবশ্য এখনই করোনার ভয় পাচ্ছেন না। ভারতের যে দুটি স্থায়ী স্টেশন রয়েছে, সেই মৈত্রী আর ভারতী চিলি স্টেশন থেকে অন্তত ৫,০০০ কিলোমিটার দূরে। মৈত্রী আর ভারতীর নিজেদের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার। করোনার জেরে আন্টার্কটিকায় কাজ করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক প্রটোকল ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিকদের নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা কার্যত বন্ধ, কেউ কারও রিসার্চ স্টেশনে যাচ্ছেন না। ভারতের সব থেকে কাছে হল রাশিয়ানদের স্টেশন, ১০ কিলোমিটার দূরে। চিলি স্টেশন এত দূরে, যে স্বাভাবিক সময়েও কথাবার্তার উপায় নেই। বলেছেন গোয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওসেন রিসার্চ (NCPOR)-এর ডিরেক্টর এম রবিচন্দ্রন। এই সংস্থাই আন্টার্কটিকা ও আর্কটিকে ভারতের বৈজ্ঞানিক অভিযানের নোডাল এজেন্সি।
গত বছর ডিসেম্বরে আন্টার্কটিকা যায় ৫০ জন ভারতীয়ের একটি দল। সেই দলের এবার ফেরার কথা। নতুন দল জানুয়ারিতে আন্টার্কটিকা রওনা দেবে। তাঁদের কারও যাতে করোনা না হয়, সে ব্যাপারে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন। এবারও যাচ্ছে ৫০ জনের টিম, সকলে এখন গোয়াতে। একটি হোটেলে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে, দেখা হচ্ছে, কেউ যাতে আক্রান্ত না হন। প্রতি ৫ দিন অন্তর তাঁদের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে।
আন্টার্কটিকা যে হেতু দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত তাই অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানা গরম থাকে। জানুয়ারিতে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে শূন্য ডিগ্রির কাছাকাছি। বরফের আস্তরণে ঢাকা এই অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের অন্তত হাজার খানেক মানুষ কাজ করেন। করোনা সংক্রমণ যাতে নাহয়, সেই জন্য শীতকালে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। পর্যটন বন্ধের পাশাপাশি, বাইরে থেকে আন্টার্কটিকায় কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে নিয়ম ও কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
বাংলাদেশ
জেলার
Advertisement