(Source: ECI | ABP NEWS)
Benjamin Netanyahu: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ফের মনোনয়ন, এবার ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করলেন নেতানিয়াহু
Donald Trump: নৈশভোজে ট্রাম্পের হাতে সুপারিশপত্রও তুলে দেন তিনি।

নয়াদিল্লি: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ফের মনোনীত হলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁকে মনোনীত করলেন। হোয়াইট হাউসে পৌঁছে নিজেই সেকথা জানালেন নেতানিয়াহু। গত ২১ মাস ধরে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ট্রাম্পের দাবি, ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তিস্থাপনে সম্মত হয়েছে হামাস। আর তার পরই, 'শান্তি প্রতিষ্ঠা'র জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করার কথা জানালেন নেতানিয়াহু। নৈশভোজে ট্রাম্পের হাতে সুপারিশপত্রও তুলে দেন তিনি। (Benjamin Netanyahu)
ট্রাম্পকে মনোনীত করা নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, "প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই অনেক সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি অ্যাব্রাহাম চুক্তি এনেছেন। যে সময় দাঁড়িয়ে কথআ বলছি আমরা, একের পর এক দেশে শান্তিস্থাপন করছেন উনি। উনি এটা (নোবেল শান্তি পুরস্কার) পাওয়ার জন্য, ওঁর পাওয়াই উচিত।" বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে, পশ্চিম এশিয়াকে নিরাপদ করে তুলতে ট্রাম্প অসাধারণ কাজ করেছেন বলেও দাবি করেন নেতানিয়াহু। (Donald Trump)
ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, "শুধুমাত্র ইজরায়েলি নাগরিকদের হয়েই বয়, ইহুদি সমাজের হয়ে আপনাকে আপনার নেতৃত্বগুণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। পৃথিবীকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে, পৃথিবীতে শান্তি কায়েম করতে, পৃথিবীকে নিরাপদ করে তুলতে, বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়ায় আপনি যা করেছেন, তার জন্য় ধন্যবাদ। একজোট হয়ে যেভাবে চ্য়ালেঞ্জের মোকাবিলা করেছি আমরা, সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছি যেভাবে, তাও প্রোসিডেন্টের জন্যই সম্ভব হয়েছে। অসাধারণ টিম তৈরি করেন উনি।"
আমেরিকার মসনদে ফেরার পর থেকেই বার বার নিজেকে 'শান্তিকামী' হিসেবে তুলে ধরেছেন ট্রাম্প। নেতানিয়াহু তাঁকে মনোনীত করার পর বলেন, " আমি এটা জানতামই না। ওয়াও, অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে মনোনয়ন পাওয়া বেশ অর্থপূর্ণ।" নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক বার মনোনীত হয়েছেন ট্রাম্প। যদিও মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ট্রাম্প নিজেই। নরওয়ের নোবেল কমিটির উদ্দেশে তোপও দাগেন। ভারত বনাম পাকিস্তান, সার্বিয়া বনাম কসভো-র সংঘাত মেটানোর পরও কেন নোবেল পুরস্কারের জন্য তাঁকে বেছে নেওয়া হচ্ছে না, ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রকাশ্যেই।
এখনও পর্যন্ত আমেরিকার তিন জন প্রেসিডেন্টই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন- ১৯০৬ সালে থিওডোর রুজভেল্ট, ১৯১৯ সালে উডড্রো উিলসন এবং ২০০৯ সালে বারাক ওবামা। ওবামাকে নোবেল দেওয়া নিয়েও নোবেল কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে। আমেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিজেকে ওবামার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন ট্রাম্প। ওবামাকে টেক্কা দিতেই নোবেল পুরস্কারের জন্য মরিয়া তিনি। একদা ট্রাম্প সরকারের অংশ এক আধিকারিক জানান, ধনসম্পত্তির অভাব নেই ট্রাম্পের। তিনি নোবেল পুরস্কার চান সম্মানবৃদ্ধির জন্য।
তবে নেতানিয়াহু যেভাবে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘাতে একাধিক বিষয়ে একমত না হলেও, এখনও লাগাতার নেতানিয়াহুকে সমর্থন করে চলেছেন ট্রাম্প, অস্ত্রশস্ত্রও জুগিয়ে চলেছেন। এমনকি ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ইজরায়েলের হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমেরিকার সেনা। নাম সুপারিশ করো নোবেল পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে বেশ খানিকটা এগিয়ে দিলেন বলে তাই মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।























