Iran-Israel Conflict: ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে ইজরায়েলের বিরাট হামলা! তেজক্রিয় বিকিরণের চরম আশঙ্কা
Israel Attack Iran: উত্তর ইজরায়েলের হাইফা শহরে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। অন্যদিকে, গাজায় গোলাবর্ষণ করে চলেছে ইজরায়েল।

নয়া দিল্লি: ৯ দিনে আরও ভয়ঙ্কর ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ। যত দিন যাচ্ছে, ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। শুক্রবার রাত থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। ইরানের প্রত্যাঘাতে বিপর্যস্ত ইজরায়েল। রাজধানী তেল আভিভে মুহুর্মুহু সাইরেন বাজছে। ইরান থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসছে মিসাইল। জেরুজালেমেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের ইসফাহান প্রদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উত্তর ইজরায়েলের হাইফা শহরে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। অন্যদিকে, গাজায় গোলাবর্ষণ করে চলেছে ইজরায়েল। ইরানের ইসলামিক রিভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ড্রোন কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে তারা দাবি করেছে। দু’ দেশেই প্রচুর প্রাণহানি এবং আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি।
দিনে দিনে আরও তীব্র হচ্ছে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ। তেল আভিভ, জেরুজালেম-সহ ইজরায়েলের একাধিক জায়গায় মিসাইল হামলা চালাল ইরান। পাল্টা, মিসাইলে তার কোনটা মাঝ আকাশে ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েল, আবার, কোনটা এসে পড়েছে তেল আভিভে। আগামী দিনে ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ কোন দিকে এগোবে? পরিস্থিতি কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে? এই প্রশ্নগুলো ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নিষেধ উপেক্ষা করে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করছে বলে অভিযোগ। তারা দ্রুত পরমাণু বোমা তৈরি করার জায়গায় চলে আসবে বলে আশঙ্কা ইজরায়েলের। আর, এই আশঙ্কা থেকেই ১৩ই জুন, ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। পাল্টা, প্রত্যাঘাত করে ইরানও। ইরানের ফোরদো পরমাণুকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে পাহাড় কেটে। এর আগে এই পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। কিন্তু, পরমাণুকেন্দ্রটির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে, হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ইরান সম্পর্কে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর মধ্যেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঙ্কার দিয়েছেন, ইরানের প্রতিটি পারমাণবিক ঘাঁটি ধ্বংস করা হবে। এতে যোগদান করা বা না করা আমেরিকার সিদ্ধান্ত। আর এই আবহেই এবার ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ প্রসঙ্গে হস্তক্ষেপ করলে গুরুতর পরিণতি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হাওয়া দিচ্ছে আমেরিকা, এমনই দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। অন্যদিকে পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলার চালানোর বিরোধিতা করেছে চিনও।





















